top of page

কনটেনমেন্ট জোনে ঢোকার চেষ্টা, সাংসদের কনভয় আটকাল পুলিশ

Updated: Nov 6, 2020

হরিশ্চন্দ্রপুরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর সেই ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগে সাংসদের কনভয় আটকায় পুলিশ প্রশাসন। প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ফিরে এসেছেন সাংসদ৷ ওই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন উত্তর মালদার সাংসদ।

উল্লেখ্য, গ্রামে বেড়া দেওয়া নিয়ে গত পরশু রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামের সঙ্গে মানকিবাড়ি গ্রামের একাংশের সংঘর্ষ হয়৷ ওই রাতে গোষ্ঠী সংঘর্ষে চণ্ডীপুরের এক গ্রামীণ চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়৷ সেই ঘটনার পর আক্রান্তদের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এলাকার সাংসদ খগেন মুর্মু৷ কিন্তু গ্রামে ঢোকার ২০ কিলোমিটার আগে চাঁচল-হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের বটতলা এলাকায় তাঁর পথ আটকান বিডিও অনির্বাণ বসু ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস৷ তাঁরা সাংসদকে জানান, এই মুহূর্তে ওই এলাকা করোনা কনটেনমেন্ট জোনের আওতায়। তাছাড়া যেহেতু গোটা ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক, তাই এখন তাঁদের ওই গ্রামে যাওয়া উচিত হবে না৷ বিডিও এবং আইসি’র আবেদনে সাড়া দিয়ে ফিরে আসেন সাংসদ৷




খগেনবাবু বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনায় আমরা আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের আবেদন জানানো হয়, ওই এলাকা এখন কনটেনমেন্ট জোন৷ এখন সেখানে যাওয়া ঠিক হবে না। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন, পরশু রাতের ঘটনায় যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বিডিও ও আইসি জানিয়েছেন, আজ সাংসদ ও তাঁদের দলের লোকজন হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডীপুর গ্রামে যেতে চেয়েছিলেন৷ এই মুহূর্তে চণ্ডীপুর গ্রামকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ এই সময় অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরের কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ কিন্তু গোটা বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তাঁরা ফিরে গিয়েছেন৷


এই ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের টুইট আজ রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট সমালোচিত হয়।







টপিকঃ #কনটেনমেন্টজোন #Lockdown

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page