'টোটো অ্যাম্বুলেন্স' পরিসেবা নিয়ে শহরে যুবক
top of page

'টোটো অ্যাম্বুলেন্স' পরিসেবা নিয়ে শহরে যুবক

অ্যাম্বুলেন্স পরিসেবা নিয়ে নানা সময় নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। কখনও অতিরিক্ত ভাড়া, আবার কখনও সময়মত অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া। এসমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিতে রোগীদের মেডিকেল কলেজে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন মালদার যুবক জিতেন চৌধুরি। রোগীদের পৌঁছে দিতে টোটোকেই ব্যবহার করছেন তিনি। মেডিকেল কলেজ থেকে চার কিলোমিটারের মধ্যে যে কেউ যে কোনো সময়ে ফোন করে জিতেনবাবুর ‘টোটো অ্যাম্বুলেন্সের’ ( Toto Ambulance ) সুবিধে নিতে পারেন।


ইংরেজবাজারের বাগবাড়ি বাঁধের বাসিন্দা জিতেন চৌধুরি (২২)৷ বাবা বাবলু চৌধুরি পেশায় লরিচালক৷ নিম্নবিত্ত পরিবারে সংসারের হাল ধরতে মাস তিনেক আগে টোটো কিনে রাস্তায় নেমে পড়েছেন জিতেনবাবু। এক রাতে এক রোগীকে মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু সময় মতো না পৌঁছনোয় সেই রোগীর মৃত্যু হয়। সেই সময় তিনি চিন্তা করেন, ওই পরিবার যদি কিছুসময় আগে তাঁর টোটো পেতেন তবে হয়তো ওই রোগীকে বাঁচানো যেত। এরপরেই তিনি টোটো করে রোগীকে মালদা মেডিকেল কলেজে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।


Youth in Malda town with Toto Ambulance service
জিতেনবাবুর ‘টোটো অ্যাম্বুলেন্স’

জিতেনবাবু জানান,

রোগীদের সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছে দিতেই এই সিদ্ধান্ত। করিমূল হকের কাহিনী শুনেও প্রেরণা পেয়েছি। টোটো কেনার একমাস পর থেকেই আমি মানুষকে এই পরিসেবা দিচ্ছি৷ এতে হয়তো আমার উপার্জন কিছুটা কম হবে৷ তবে এতে অনেকেরই উপকার হবে। সবার পক্ষে তো আর অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা সম্ভব হয় না! আমার মোবাইল নম্বরে (৮৪৩৬৯ ১৯৩৬৬) ফোন করলেই মেডিকেল কলেজের ৪-৫ কিলোমিটারের মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে চলে যাব।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page