করোনা কালে রাজবাড়ির পুজোতে মন্দিরে প্রবেশ নিষেধ
top of page

করোনা কালে রাজবাড়ির পুজোতে মন্দিরে প্রবেশ নিষেধ

করোনার থাবা সাড়ে তিনশো বছরের পুরোনো চাঁচল রাজবাড়ির পুজোতেও। সংক্রমণ রুখতে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না ভক্তদের। পাহাড়পুর চণ্ডীমণ্ডপে বাইরে থেকেই অঞ্জলি দিতে হবে ভক্তদের।



চাঁচল রাজার আমলে তৈরি রাজবাড়িতে তিনশো বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী পুজো সমস্ত নিয়ম রীতি মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে করা হয়। অবশ্য রাজবাড়িতে এখন আর পুজোর আয়োজন হয় না। পুজো হয় প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাহাড়পুর চণ্ডীমণ্ডপে। কথিত আছে চাঁচলের রাজা শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরির আমলে চণ্ডীমণ্ডপের উল্টোদিকে সতীঘাট শ্মশানে রাজপরিবারের এক মহিলা, স্বামীর চিতায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে রাজা রামচন্দ্র সতীঘাট থেকে এক অষ্টধাতুর নির্মিত দেবীপ্রতিমা উদ্ধার করেন। সেই প্রতিমা এখনও বিরাজমান চাঁচল রাজবাড়ির লাগোয়া ঠাকুরবাড়িতে। ষষ্ঠীর ১২ দিন আগে কৃষ্ণা নবমী তিথিতে দেবীর আরাধনা শুরু হয় চণ্ডীমণ্ডপে। প্রথা অনুযায়ী মহাসপ্তমীর সকালে অষ্টধাতুর মূর্তি ঠাকুর বাড়ি থেকে ঢাকঢোল সহকারে রুপো চাঁদির ছত্রছায়ায় পাহাড়পুর চণ্ডীমণ্ডপে আনা হয়। অষ্টমীর দিন কুমারী পুজো হয় ওই মণ্ডপে। দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত পুজোয় অংশগ্রহণ করতে আসেন। এই পুজো বর্তমানে পরিচালনা করে এক ট্রাস্টি বোর্ড। পুজোর জন্য বোর্ডের বরাত মাত্র নয় হাজার টাকা। বর্তমান সমাজে সেই টাকায় পুজো কার্যত অসম্ভব। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা ও চাঁচলবাসী এই পুজোতে অনুদান দেন। তাঁদের সহযোগিতায় এই পুজো আয়োজিত হয়।




পুরোনো ঐতিহ্যে এবার মারণ করোনা থাবা বসিয়েছে। প্রথমবার চণ্ডীমণ্ডপের গেট বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে রাখা হবে। মণ্ডপে প্রবেশের আগে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। বাধ্যতামূলক থাকছে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব। সমস্ত সরকারি নির্দেশিকা মেনে এই পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চণ্ডীমণ্ডপ পুজো কমিটি।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page