মাস্ক মুখে ছাঁদনাতলায় বর-কনে, সাক্ষী জনা আটেক
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- May 9, 2020
- 1 min read
Updated: Aug 11, 2020
লকডাউন লগ্নের এই বিয়েতে আত্মীয়পরিজন ছাড়াই বিয়ের পিড়িতে বসলেন পাত্রপাত্রী৷ হাতেগোনা জনা আটেকের উপস্থিতিতে শুভ পরিণয় সম্পন্ন হল যুবক-যুবতির৷ সামাজিক অনুষ্ঠান ব্যতিরেকে শুধুমাত্র রীতি মেনে মালদা শহরের ৩ নম্বর গভঃ কলোনিতে এই বিয়ের আয়োজন হয়৷
ধুমধাম করেই একমাত্র মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল তিন নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনির বর্ধন পরিবারের। বিয়ের তারিখ ঠিক হয়েছিল ১৭ এপ্রিল। সেইমতো বিয়ের কার্ড ছাপানো, অতিথিদের আপ্যায়নে মেনু-চার্ট তৈরি, আত্মীয়বন্ধুদের নেমন্তন্ন ইত্যাদি সারা হয়েছিল। কিন্তু বাঁধ সাধে লকডাউন। শেষে প্রশাসনকে জানিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে বাড়িতেই আয়োজন হয় বিয়ের আসরের। বাড়িতে উপস্থিত বর-কনে, পুরোহিত, পাত্রীপক্ষ সবমিলিয়ে সাত-আটজনের সকলের মুখেই দেখা গেল মাস্ক। পাত্র ইংরেজবাজারের গৌড় রোডের বাসিন্দা সুমিত মণ্ডল এলেন একমাত্র বরযাত্রী আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে।
[ আরও পড়ুন > টাঙনপাড়ে ফসলের খোঁজ, সাঁকো বানাচ্ছে চাষিরা ]
ইংরেজবাজারের তিন নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনির বিদিশা বর্ধনের বিবাহ হল গৌড় রোডের বাসিন্দা সুমিত মণ্ডলের সঙ্গে। পরিবারের এক সদস্য জানান, মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল ধুমধাম করে৷ সবই কিছুই পরিকল্পনা মাফিক চলছিল৷ এরই মাঝে সারা বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের থাবায় আক্রান্ত হয় মানুষ। এই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়। বিয়ের তারিখ পরিবর্তন হয় লকডাউনে৷ সারা দেশে এখন তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন চলছে। এই লকডাউন কবে প্রত্যাহার হবে তা সকলের কাছেই অজানা। পরে যদি লকডাউন আরও বৃদ্ধি পায় তাই শুধুমাত্র পুরোহিত দিয়ে অনাড়ম্বর ভাবে চারহাত এক করতে হল৷
[ আরও পড়ুন > উৎসবে ভাঁটা, এক অন্য পঁচিশে বৈশাখ ]
বিয়ে মানে আনন্দ, হই হুল্লোড়। সেসব বাদ রেখে সামাজিক দূরত্ব মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়৷ বিয়ের পিড়িতে মুখে মাস্ক পরে থাকতে দেখা যায় পাত্রপাত্রীকে৷ লকডাউনের মাঝে বিবাহ সম্পন্ন হওয়া খুশী নবদম্পতি।











Comments