কিডন্যাপের পর খুনের অভিযোগ মালদায়
অবশেষে চারদিনের মাথায় উদ্ধার হল তৃণমূল নেতার ছেলের মৃতদেহ। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের এক সদস্যসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ।
মৃত ছেলের নাম ওমর ফারুক (১০)। ওমরের বাবা হাফিজুল ইসলাম মোথাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে জয়লাভ করলেও পরে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আমলিতলা এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল ওমর। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পরিবারের সকলে রবিবার সেখানে যায়। সেখান থেকে ফিরতে সন্ধে হয়ে যায়। এরপর ওমর কয়েকজন বন্ধুর সাথে খেলতে বাড়ির বাইরে যায়। পরিবারের অভিযোগ, রাস্তায় কেউ বা কারা ওমরকে কিছু কিনে দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে নিয়ে যায়। খানিক সময় পর থেকেই পরিবারের লোকজন ওমরের খোঁজ করতে শুরু করে। সেদিন রাত ১১টা নাগাদ ফোন করে ওমরের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করে দুষ্কৃতীরা। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হন হাফিজুল সাহেব। তবে ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ ওমরকে খুঁজে বের করতে পারেনি। অবশেষে গত কাল বিকেলে বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে প্রতাপপুর নিমাজোল এলাকা থেকে ওমরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন মোথাবাড়ি বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন ও তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে অপহৃতকে। এই ঘটনায় পরিবারের এক সদস্য ও তার বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম রমজান শেখ ও রশিদুল ইসলাম। মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এধরনের ঘটনা আগে এলাকায় ঘটেনি। দোষীদের কঠোর শাস্তি চান তিনি।
জেলার পুলিশসুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ছেলেটির দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ শ্বাসরোধ করেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে জানা যাবে৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ আশা করা যাচ্ছে, শীঘ্রই এই খুনের রহস্যের কিনারা মিলবে।
মালদা জেলার টাটকা নিউজ এখন আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে। বিনামূল্যে পড়তে এখানে ক্লিক করুন
Comments