কালিয়াচকেই তৈরি হচ্ছে ব্রাউনশুগার! মহিলারাও জড়িত ব্যবসায়
top of page

কালিয়াচকেই তৈরি হচ্ছে ব্রাউনশুগার! মহিলারাও জড়িত ব্যবসায়

এক সময় আফিমের আখড়া ছিল মালদা জেলা। পুলিশ প্রশাসনের কড়া হস্তক্ষেপের পর জেলায় কোথাও আফিমের চাষ হচ্ছে না। এরপরেই কারবারীরা নেমে পড়েছেন ব্রাউনশুগারের ব্যবসায়। তবে ব্রাউন শুগারের কারবার রুখতেও তৎপর হয়েছে পুলিশ। চলতি বছরে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার মাদক সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।



এক সময় মালদা জেলার পরিচিতি জালনোটের আখড়া হিসাবে হয়ে উঠেছিল। সেখান থেকে যেন ব্রাউনশুগারের ঘাঁটি হয়ে উঠছে মালদা। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা জেলায় বেশ কিছু ব্লকে পোস্ত চাষ হত। গত কয়েকবছরে জেলাপুলিশ প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিয়ে জেলার সমস্ত জায়গায় বেআইনি পোস্ত চাষ বন্ধ করে দেয়। এরপরেই কারবারী বিকল্প মাদক কারবারের চেষ্টা চালাতে থাকে। আস্তে আস্তে কারবারীরা ব্রাউনশুগারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ড সহ সিকিম ও নাগাল্যাণ্ড থেকে আফিমের রস (ব্রাউনশুগারের কাঁচামাল) জেলায় আসছে। সেই আফিমের রস দিয়ে কালিয়াচকে তৈরি হচ্ছে ব্রাউনশুগার। এরপরে তা চড়া দামে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্রাউনশুগারের এই চক্র রুখতে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে কালিয়াচকের একটি ব্রাউনশুগার তৈরির কারখানা বন্ধ করেছে মালদা জেলা পুলিশ। পুরুষদের সঙ্গে মহিলারাও জড়িয়ে পড়েছে ব্রাউনশুগারের ব্যবসায়।


যদিও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলাপুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ব্রাউনশুগারের কারবার রুখতে অতিসক্রিয় রয়েছে জেলা পুলিশ। নজরদারি চালানো হচ্ছে মাদক কারবারীদের ওপর।


প্রতীকী ছবি।

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page