আবাস যোজনায় নাম থাকলেও মেলেনি ঘর
top of page

আবাস যোজনায় নাম থাকলেও মেলেনি ঘর

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম থাকলেও এখনও মেলেনি ঘর। ভাঙাচোরা একটি ঘরেই থাকা-খাওয়া-ঘুমোনো। সমস্ত ঘটনা চোখের সামনে দেখেও নির্বিকার পঞ্চায়েত সদস্য। এই ঘটনা সামনে আসতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সরকারি ঘর পেতে হলে কতটা গরিব হতে হবে?



মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেরা বেওয়া। সাবেরা বেওয়ার স্বামী সেখ সোনুয়া প্রায় কুড়ি বছর আগে অসুখে মারা যান। বাড়িতে চার কন্যাসন্তান নিয়ে বসবাস করেন সাবেরা বেওয়া। প্রতিবেশীদের সহায়তায় চার মেয়ের বিয়ে হলেও মা’কে দেখাশোনার জন্য বাড়িতেই থেকে যান ছোটো মেয়ে লিলিফা খাতুন। লিলিফার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। প্রায় ১৫ বছর ধরে মাঠে ধান কেটে, পরিচারিকার কাজ করে মায়ের মুখে দু’মুঠো অন্ন তুলে দেন লিলিফা। অভিযোগ, স্বামী মারা যাওয়ার কুড়ি বছর কেটে গেলেও এখনো মেলেনি বিধবাভাতা। মেলেনি কোনোরকম সরকারি সাহায্য।


লিলিফা খাতুন জানান, তাঁর বাবা কুড়ি বছর আগে মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই মা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। আর্থিক অভাব থাকায় মায়ের চিকিৎসা করাতে পারেননি। বাস্তুভিটা ছাড়া তাঁদের কোনও জমি নেই। রয়েছে একটি ভাঙাচোরা ঘর। মেয়ে ও তিন নাতি-নাতনি ওই ভাঙাচোরা ঘরেই থাকেন। মা কখনো বাড়ির বারান্দায় কখনো আবার রান্নাঘরেই ঘুমোন। বৃষ্টি হলেই চাল চুয়ে জল পড়ে। ঘরের উপরে টিনের ছাউনি থাকলেও দেওয়ালগুলিতে ঘুণ ধরে খসে পড়ার ভয় রয়েছে। সকাল হতেই ফাঁকফোকর দিয়ে সূর্যের আলো ঘরটিতে প্রবেশ করে। প্রতিটা ইটে দারিদ্র্যতার ছাপ ফুটে উঠেছে। সরকারি ঘরের জন্য সবার দরজায় ঘুরেও কোনও লাভ হয়নি। আজও পর্যন্ত মেলেনি বিধবাভাতা।



সাবেরা বেওয়ার বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যার ঘর। সেই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী গোলাম মর্তুজা জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় ওনার নাম রয়েছে। কিন্তু তাঁর আধার কার্ড না থাকায় ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা যাচ্ছে না। এমনকি তাঁর নামটিও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কম্পিউটারে রেজিস্টারও করা হয়নি। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হলেই তার অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি। তাঁর বাস্তুভিটা ছাড়া কোনও জমি না থাকায় নলকূপ ও শৌচাগারের ব্যবস্থাও করা যায়নি।




বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, সংবাদমাধ্যম থেকে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন। ওই মহিলার দ্রুত আধার কার্ড করিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করবেন তিনি।


মালদা জেলার টাটকা নিউজ এখন আমাদের অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে। বিনামূল্যে পড়তে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page