ছাত্রপরিষদ বনাম যুব তৃণমূল সংঘর্ষ, আহত দুই নেতা
top of page

ছাত্রপরিষদ বনাম যুব তৃণমূল সংঘর্ষ, আহত দুই নেতা

বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এরপর গোটা রাজ্য তাকিয়ে শনিবারের বারবেলার দিকে। সেদিন মেদিনীপুরে বেলা ৩টায় অমিত শাহের সভা। জল্পনা, সেদিন অনেক নেতা বিজেপিতে যোগদান করবে। এদিকে এই আবহের মধ্যেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না জেলা তৃণমূলে। তৃণমূলের বড়ো-ছোটো নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীকলহ বারবার প্রকাশ্যে চলে আসছে। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূলে বড়ো ভাঙ্গন ধরতে পাড়ে জেলায় তা প্রায় স্পষ্ট। একের পর এক পঞ্চায়েত সদস্য, ব্লক এবং অঞ্চল নেতারা পদত্যাগ করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা দ্রোণাচার্য ব্যানার্জি। আর এই আবহেই গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ছাত্র এবং যুব তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠে হরিশ্চন্দ্রপুর শহিদমোড় এলাকা। আহত হয় দুই ছাত্র নেতা।



সূত্রের খবর, ছাত্রপরিষদের একটি অনুষ্ঠানের কথা বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে চাঁদা তোলা ঘিরে বিবাদের সৃষ্টি হয়। রাহাত আজগর নামে এক স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই চাঁদা তুলেছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল ছাত্রপরিষদের নেতা প্রণব দাস ও শেখ ছোটন। এরপর শুরু হয় গণ্ডগোল। অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূলের সহসভাপতি দুর্জয় দাসের নেতৃত্বে জাবির, সাহিল, রাহাত আজগর সহ বেশ কয়েকজন যুব তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বাঁশ, ইট দিয়ে ওই দুই ছাত্রনেতাকে বেধড়ক মারধর করে। আহত হয় ওই দুই ছাত্রনেতা। গণ্ডগোল চলাকালীন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি জিয়াউর রহমান পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে এলে দুর্জয় দাসের কাছে হুমকির সম্মুখীন হতে হয়। তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি যুব ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমানকে ফোন মারফত প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে ফের নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। তারপর ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এখনও পুলিশের কাছে এই ঘটনার কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুব এবং ছাত্র তৃণমূলের কোন্দল তথা যুব তৃণমূলের অন্দরের সংঘাত সামনে এসেছে। দলে যখন নেতাদের ইস্তফার হিড়িক পড়েছে তখন এই ঘটনা যে তৃণমূলে অস্বস্তি বাড়াবে তা বলাই বাহুল্য। এলাকায় এখনো যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসীও। যদিও অভিযুক্ত যুবনেতা দুর্জয় দাস সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।


হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি জিয়াউর রহমান জানান, এই ঝামেলার কথা জানতে পেরে পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে যুব তৃণমূলের সহসভাপতি দুর্জয় দাস আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সমস্ত বিষয় জানানো হবে। আক্রান্ত ছাত্র নেতা শেখ ছোটন জানান, আমাদের ছাত্রপরিষদের নাম করে শেখ আজগর এলাকা থেকে টাকা তুলেছিল। তার প্রতিবাদ করায় দুর্জয় দাস ও তার দলবল আমাদের মারধর করে। দল এই ঘটনা সঠিক বিচার করবে আশা রাখি।




এদিকে অভিযুক্ত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি দুর্জয় দাস জানান, মারধর ও হুমকির সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অনুষ্ঠান আছে তাই চাঁদা তোলা হচ্ছিল। পালটা তিনি সভাপতি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলেছেন।


এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা রূপেশ আগরওয়াল বলেন, নিজেদের মধ্যে ঝামেলা ঝঞ্ঝাট করেই এই দলটা শেষ হয়ে যাবে। তৃণমূল দলটা আর কয়েকমাস আছে। এদিকে গোষ্ঠী কোন্দল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক তরজা সব মিলে সরগরম হরিশ্চন্দ্রপুরের রাজনীতি।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page