চাঁচলে তৃণমূলের ধরনা, জটলায় ক্ষুব্ধ বিরোধীরা
top of page

চাঁচলে তৃণমূলের ধরনা, জটলায় ক্ষুব্ধ বিরোধীরা

পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে ধরনায় বসল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের সভাপতি সচিদানন্দ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন খরবা অঞ্চলের তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।


TMC sat on the bench demanding expulsion

তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, খরবা পঞ্চায়েতের শ্রীপতিপুর বুথের সদস্য মহবুবুল হক দীর্ঘদিন ধরে দলের নাম ভেঙে পঞ্চায়েতের প্রধান ও কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতি করে চলেছেন। প্রথমে তিনি কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। দল পরিবর্তন করার পর তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে একের পর এক দুর্নীতি করেছেন। তাঁর দুর্নীতির কথা ব্লক ও জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ব্লক কিংবা জেলা নেতৃত্ব কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বাধ্য হয়ে তৃণমূলের কর্মীরা ব্লক সভাপতির বাড়ির সামনে ধরনায় বসে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। ব্লক কিংবা জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত এই ধরনা চলবে বলেও জানান তাঁরা।

সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেন পঞ্চায়েত সদস্য মহবুবুল হক। তিনি জানান, তাঁকে বদনাম করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। প্রধান, উপপ্রধানের হাত ধরেই দলে তাঁর যোগদান হয়েছে। তবে একদল যুবক তা মানতে চান না, ওরা তৃণমূলের সমর্থক রয়েছে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। প্রধান থাকাকালীন এলাকায় অনেক কাজ করেছেন বলে দাবি করেন মহবুল হক।

এদিকে ওরা তৃণমূলের কেউ নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন খরবা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পারভিনা খাতুন। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে অনশন করা পর জেলা সভানেত্রী মৌসম নূরের ফোনে আশ্বস্ত হয়ে বাঁচাও কমিটি অনশন তুলে নেয়। চাঁচল-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কমিটির সভাপতি সচিদানন্দ চক্রবর্তী জানান, ব্লক নেতৃত্বের তরফে উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হবে। বহিষ্কারের বিষয়টি জেলা নেতৃত্বের সাথেও আলোচনা করা হবে।




তবে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে বৃহস্পতিবার থেকে চাঁচলে শুরু হয়েছে সাতদিনের আংশিক লকডাউন। আর এই লকডাউনের মধ্যেও জটলা বেধে তৃণমূলের অনশনকে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপি জেলা কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেন, তৃণমূলের সবাই দুর্নীতি করে। তৃণমূলের গ্রামপঞ্চায়েতগুলি দুর্নীতিতে আসক্ত। এর ফলে এদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। তবে লকডাউনের মধ্যেও সামাজিক দূরত্ব না মেনে জটলা বেধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। প্রশাসন এর ব্যবস্থা নিক।

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page