দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নি সংযোগের অভিযোগ
গ্রাম্য সালিশি সভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুরের রশিদাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতের মারাডাঙ্গী গ্রামে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গতকাল রাতে একটি দুর্ঘটনায় এলাকার বাসিন্দা আহত হন। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন ওই এলাকার মানুষেরা। গাড়িটিকে ওই গ্রামের মানুষরা দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখেন। পার্শ্ববর্তী গ্রাম খোশালপুরের বাসিন্দারা ওই গাড়িটিকে ছাড়াতে এলে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সালিশি সভা বসে। সেই সময় জরিমানার টাকা পছন্দ না হয় ফের বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে ওই গ্রামের বাসিন্দারা। এরপর খোশালপুর গ্রামের বাসিন্দারা মারাডাঙ্গী গ্রামের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য সেহেরুনা খাতুনের বাড়িতে হামলা করে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, বাড়িতে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে দেওয়া হয়।
ওই পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী নুরুল ইসলাম জানান, গতকাল সালিশি সভায় টাকার অংক পছন্দ না হওয়াতেই তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায় খোশালপুরের বাসিন্দারা। প্রাণ ভয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। সেই সময় বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করার পাশাপাশি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ওই গ্রামের বাসিন্দারা। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
[ আরও খবরঃ নিমগাছে উদ্ধার ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ, পলাতক অভিযুক্ত ]
এদিকে খোশালপুর গ্রামের সদস্য রহানুল হক জানান, ঘটনা জানতে পারার পরে তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চাবি ও মোবাইল উদ্ধার করে আনেন। তিনি ঘটনাস্থলে থাকাকালীন কোনোরকম গণ্ডগোল হয়নি। স্থানীয়দের অনুমান, মূলত এই দুই পঞ্চায়েত সদস্যের অনুগামীদের পারস্পরিক বিবাদের কারণে এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। এপ্রসঙ্গে চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সজলকান্তি বিশ্বাস জানান, দুই পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Comments