কাটমানি নিয়ে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলি সদস্যের বিরুদ্ধে
top of page

কাটমানি নিয়ে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলি সদস্যের বিরুদ্ধে

রেলের জমিতে থাকা মানুষের নাম আবাস যোজনার তালিকায় উঠেছে। অথচ নিজের জমিতে কাঁচাবাড়িতে থাকা মানুষের তালিকায় নেই। অভিযোগ, কাটমানি নিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য এমন কাজ করেছেন। এমনই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকা পরিদর্শনে যান পুরাতন মালদার বিজেপি বিধায়ক। ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা তাঁকে জানিয়ে দেন, ভোটের আগে আবাস যোজনার সুবিধে না পেলে ভোট বয়কট করবেন তাঁরা। এনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার কথা উঠে এসেছে বিধায়কের গলায়। এদিকে, অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য।


পুরাতন মালদা ব্লকের মঙ্গলবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের নলডুবি এলাকার মানুষদের অভিযোগ, আবাস যোজনার নিয়ম অনুযায়ী এই প্রকল্পে আবেদনকারীদের নিজস্ব জমি থাকতে হবে৷ তা না হলে আবেদন করা যাবে না৷ কিন্তু আবাস যোজনার তালিকায় দেখা যাচ্ছে, রেলের জায়গায় বসবাসকারী বহু মানুষের নাম রয়েছে। অথচ নিজেদের জমি থেকেও এই প্রকল্পের চূড়ান্ত তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে বহু স্থানীয় বাসিন্দাদের।


এক আবেদনকারী ত্রিনয়নী শীল জানান,

তিনি আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁর নিজের জমি রয়েছে। তিনি কাঁচা বাড়িতে বসবাস করেন। কিন্তু তালিকায় তাঁর নাম নেই। অথচ রেলের জমিতে বসবাসকারী বহু মানুষের নাম তালিকায় রয়েছে। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ৩০-৪০ হাজার টাকা নিয়ে ওদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে৷ তাঁরা কাটমানি না দেওয়ায় তাঁদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। ভোটের আগে তাঁরা আবাস যোজনার সুবিধে না পেলে তাঁরা ভোট বয়কট করবেন।


অভিযোগের ভিত্তিতে আজ ওই এলাকায় যান স্থানীয় বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা৷ তিনি জানান, মানুষের অভিযোগ তিনি শুনেছেন। এনিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। ওই দফতরের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি তিনি জানাবেন।




তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্য রিপন বর্মন জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তালিকায় থাকা সকলের নিজের জমি রয়েছে। অনেকে প্রকল্পের সুবিধে পাননি। তবে তাঁরাও যোগ্য ছিলেন। তাঁকে বদনাম করতে বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page