পোস্ট কার্ডের মণ্ডপ বিবেকানন্দ সংঘে
top of page

পোস্ট কার্ডের মণ্ডপ বিবেকানন্দ সংঘে

একটা সময় চিঠি আদানপ্রদান করা হত পাখির মাধ্যমে। বার্তা পাঠানো হত পায়রা কিংবা বাজ পাখির পায়ে চিঠি বেঁধে। এরপর এল রানার। পায়ে হেঁটে বার্তা পৌঁছে যেত নির্দিষ্ট মানুষের কাছে। পরবর্তীতে এল ডাক ব্যবস্থা, প্রবর্তন ঘটল পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ডের।


এরপর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সরাসরি বার্তা প্রদানের জন্য এল টেলিফোন। সময় বদলাতে থাকল, সাথে উন্নত হতে থাকল প্রযুক্তি। হাতে এখন আমাদের মুঠোফোন। হারাতে থাকল একে একে টেলিফোন, পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ড।


মানুষের হাতে সময় এখন বড্ড কম। এখন পায়ে চিঠি নিয়ে পায়রা ওড়ে না, পিঠে থলে ভরতি চিঠি নিয়ে রানার ছোটে না। তাই এখন সকলে মজেছে ইন্টারনেটে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইমেইলের দ্বারা মানুষ বার্তা আদানপ্রদান করে প্রতিমুহূর্তে। যোগাযোগের এই বিবর্তন এখন পুজোর থিম। মালদার বিবেকানন্দ সংঘ ও গ্রন্থাগারের এইবারের পুজোর থিম চিঠি।


এবছর ৫২ বছরে পা দিল এই ক্লাবের পুজো। এই বছর পুজোর বাজেট ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। এই থিমটি বেছে নিয়েছেন ক্লাব সদস্যরা। শুধু তাই নয়, রাত জেগে সমস্ত পোস্টকার্ড তৈরি করেছেন এনারাই। থিমের সাথে থাকছে মানানসই প্রতিমা। প্রতিমা শিল্পী চন্দন পণ্ডিতের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে সাবেকি প্রতিমা। শুধু তাই নয়, প্রতিমা ছাড়া পাখি থেকে বর্তমান প্রজন্মের বার্তা আদানপ্রদানের বিবর্তন তুলে ধরতে তৈরি করা হচ্ছে মোট বারোটি মডেল।



শুধু তাই নয়, পুজোর চার দিন ধরে চলবে চিঠি লেখার প্রতিযোগিতা। তার মধ্যে সেরা তিনটি চিঠিকে নির্বাচন করে নেবে ক্লাব সদস্যরা। ক্লাবের পুজো কমিটির সেক্রেটারি বিশ্বজিৎ সাহা জানিয়েছেন, চিঠি লেখার নস্টালজিয়াকে থিমের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে। সাথে ডাক ব্যবস্থার বিবর্তনের ধারাকেও তুলে ধরা হবে। আমাদের ডাক ব্যবস্থা আবার পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠুক, এই আশাই রাখছে ক্লাব সদস্যরা। ক্লাব চত্বরে গড়ে তোলা হবে একটি মিউজিয়াম, যেখানে থাকবে বেশ কিছু আসল হাতে লেখা চিঠি। সব মিলিয়ে চিঠির সাথে যুক্ত নস্টালজিয়াকে থিমে রূপ দিতে মরিয়া ক্লাবের সদস্যরা।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page