ভরত মুনির অষ্টরসে সমৃদ্ধ ঝংকার ক্লাব
মনোজগতের প্রধান অধ্যায় হল ভাব। যে কোনো কারণে মনে যে বিশেষ অনুভবের সৃষ্টি হয়, সেটাই হল ভাব। মানুষের মনোজগতে বিচারালয়ের সিদ্ধান্তে মনে নবতর ভাবের সৃষ্টি হয়।
আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে দ্বিতীয় খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ভরতমুণি তাঁর নাট্যশাস্ত্র প্রণয়ন করেছিলেন। ভারতীয় নাট্যশাস্ত্রে অন্যান্য গ্রন্থাদির ভিতরে নাট্যশাস্ত্রকে প্রাচীনতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই নাট্যশাস্ত্রে স্থায়ী অষ্টরসের কথা উল্লেখ রয়েছে। এই অষ্টরসগুলি হল রতি, হাস, শোক, ক্রোধ, উৎসাহ, ভয়, জুগুপ্সা ও বিস্ময়। নাট্যশাস্ত্রকার সকল রসের উৎস হিসেবে বিবেচনা করেছেন ভাবকে। ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্রে উল্লিখিত এই অষ্টরস এবার দুর্গা পুজোর থিমে।
মালদার ঝংকার ক্লাবের এইবারের পুজোর থিম নাট্যশাস্ত্রের অষ্টরস। মূলত বাঁশ, কাঠ, আঁকার কাজ ও বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে এই থিম। ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্রের অষ্টরসকে ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছেন চিত্রশিল্পী ব্রততী পণ্ডিত ও খুদে শিল্পী বৈদান্তিক দাস।
এই বছর ৭৫-এ পা দিল এই ক্লাবের পুজো। এই থিমটিকে বাস্তবায়িত করতে মরিয়া ক্লাবের সদস্যরা। প্রতিমাশিল্পী সুকুমার পণ্ডিতের হাতের ছোঁয়ায় রূপ পাচ্ছে প্রতিমা। থিমের সাথে তাল মিলিয়ে থাকছে নজরকাড়া আলোকসজ্জা। ক্লাবের প্রতিমাতেও থাকছে এই অষ্টরসের ছোঁয়া। চতুর্থী থেকেই দর্শকরা দেখতে পাবেন মণ্ডপ।
কম বাজেটের পুজো হওয়া সত্ত্বেও বরাবরই বিগ বাজেটের পুজোগুলিকে টেক্কা দেয় এই ক্লাব। এবার এই ক্লাবের বাজেট আনুমানিক সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।
এবছর ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে ক্লাবের সমস্ত সদস্যকে সম্বর্ধনা জানান হবে। পুজো কমিটির সেক্রেটারি ভাস্কর রায় জানান, প্রতিটি মানুষের মনে কোনো না কোনওসময় রতি, হাস, শোক, ক্রোধ, উৎসাহ, ভয়, জুগুপ্সা ও বিস্ময় - এই অষ্টরস কাজ করে। দর্শকরা নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আরেক সত্ত্বাকে খুঁজে পাবে এমনটা আশা রাখছেন ক্লাবের সদস্যরা।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments