হাই মাদ্রাসার মেধা তালিকায় মালদার ১২

হাই মাদ্রাসার মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে ১৫ জন পড়ুয়া। তারমধ্যে ১২ জনই মালদা জেলার পরীক্ষার্থী। শুধুমাত্র নবম স্থান ছাড়া বাকি সমস্ত স্থানেই রয়েছে মালদার পড়ুয়ারা। জেলার পরীক্ষার্থীদের সেই সাফল্যে খুশির হাওয়া সর্বত্র। বিভিন্ন সংগঠনের তরফে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার সকালে হাই মাদ্রাসা, আলিম ও ফাজিলের ফল প্রকাশিত হয়। হাই মাদ্রাসার মেধা তালিকায় রয়েছে ১৫ জন। ৭৮০ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার সাহিদা পারভিন ও ভগবানপুর হাই মাদ্রাসার ফাহামিদা ইয়াসমিন। ৭৭৬ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ইসলামপুর সাগর হাই মাদ্রাসার সামসুন নেহার। ৭৭২ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মহম্মদিয়া হাই মাদ্রাসার আলিফনুর খাতুন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে রামনগর হাই মাদ্রাসার আফরিদা বানু। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭১। ৭৭০ নম্বর পেয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভগবানপুর হাই মাদ্রাসার শবনম বানু। ৭৬৯ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে রামনগর হাই মাদ্রাসার সামিম আক্তার। ৭৬৮ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে সপ্তম স্থানে রয়েছে আফিফা আফরিন সিদ্দিকা ও নূরজাহান খাতুন। ৭৬৭ নম্বরে অষ্টম স্থানে রয়েছে ফাহিমা খাতুন। যুগ্মভাবে দশম স্থান অধিকার করেছে মালদার আরও দুই পড়ুয়া আঞ্জুমান নেশা ও রেজওয়ানা সুলতানা।

রতুয়া ১ ব্লকের বাসিন্দা সাহিদা পারভিন। বাবা সামসুজ্জোহা টোটোচালক। মা সায়েমা বিবি গৃহবধূ। সাহিদা ভাদোর মুসলিম গার্লস (আবাসিক) মিশনের ছাত্রী। বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল সে। সাহিদা জানায়, মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার আশা ছিল। তবে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করব এটা ভাবতে পারিনি। এই সাফল্যের পেছনে স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বাবা-মায়ের অবদান রয়েছে। আমি ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাই।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন