অনীক সংঘে এবছর মায়াপুরের ইসকন মন্দির
শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর কাউন্টডাউন। সেই সঙ্গেই জোরকদমে চলছে পুজোর প্রস্তুতিও। মালদা শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অনীক সংঘের পুজো মালদার মধ্যে একটি। প্রতিবছর নতুন থিমের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে থাকে এই ক্লাব। এবছর এই ক্লাবের পুজো থিম মায়াপুরের ইস্কন মন্দির।
মায়াপুর অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায়। এটি শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান নামে বিখ্যাত। সেন রাজাদের আমলে নবদ্বীপ ছিল বাংলার রাজধানী। তখন নবদ্বীপ ছিল শিক্ষার পীঠস্থান। ১৯১৮ সালে ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের চৈতন্য মঠ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মায়াপুরে নতুনভাবে ভক্তির প্লাবন হয়। ১৯৭২ সালে শ্রীল অভ্যাচরণরবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ তাঁর দীক্ষাগুরুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইস্কনের মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। মায়াপুরের চন্দ্রোদয় মন্দির হল মায়াপুরের মূল আকর্ষণ। এখানে শ্রীকৃষ্ণের জীবন আখ্যান বর্ণিত।
ইস্কন মন্দিরের সৌন্দর্য ও শ্রী চৈতন্যের ভবলীলাকে ফুটিয়ে তুলতেই এই থিম বেছে নেওয়া। এবছর সত্তর বছরে পদার্পণ করল এই ক্লাবের পুজো। বাঁশ, কাঠ, রঙ, ফাইবার ইত্যাদির ব্যবহারে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। শিল্পী সত্যজিৎ রায়ের হাতের নিপুণতায় রূপ পাচ্ছে ক্লাবের প্রতিমা। থিমের সাথে সাযুজ্য রেখেই তৈরি হচ্ছে ক্লাবের দেবী প্রতিমা। সাথে থাকছে জাঁকজমকপূর্ণ আলোকসজ্জা। এই সম্পূর্ণ থিমকে রূপদান করতে খরচ হচ্ছে আনুমানিক ১৩ লক্ষ টাকা।
করোনা আবহে বিগত দুই বছরে কোনো ক্লাব থিমের যুদ্ধে সেরকম জাদু দেখাতে পারেনি কেউই। থিম ছাড়াও অনীক সংঘের পুজোর জন্য মুখিয়ে থাকে আট থেকে আশি সকলে। এই ক্লাব পুজোর দিনগুলিতে হয়ে ওঠে মালদার ম্যাডক্স স্কোয়ার। পুজোর দিনগুলি ঘিরে চলে নানা অনুষ্ঠান। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। পুজোর দিনগুলি ঘিরে থাকবে নানা উৎসব অনুষ্ঠান। এবছরের পুজো কমিটির সেক্রেটারি কৌশিক বসু জানিয়েছেন অনীক সংঘ প্রতিবার থিমে নতুন কিছু চমক রাখার চেষ্টা করে। মালদাবাসীর এই থিম পছন্দ হবে, এমনটাই আশা রাখছে ক্লাব সদস্যরা।
[ আরও খবরঃ পোস্ট কার্ডের মণ্ডপ বিবেকানন্দ সংঘে ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments