কর্তব্যরত চিকিৎসককে পুলিশের থাপ্পড়, উত্তেজনা
কর্তব্যরত চিকিৎসককে থাপ্পড় মারার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মী নিজের দোষ স্বীকার করে নিলেও চিকিৎসকরা তাঁকে ঘেরাও করে রাখেন। পরে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুপুরে কল আসায় আউটডোর থেকে হাসপাতালে আসছিলেন চিকিৎসক সৌভিক সাহা। সেই সময় মালদা জেলা সংশোধনাগার থেকে আসামিদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়েছিল। গাড়ি থেকে আসামিদের নামানোর সময় পুলিশকর্মীরা ওই জায়গা থেকে সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই ইউনিফর্ম ছাড়া সেখান দিয়ে হাসপাতালে ঢুকছিলেন সৌভিকবাবু। এরপরেই কোনোভাবে দু’জনের মধ্যে ধাক্কা লেগে যায়। সঙ্গে আসামী থাকায় অতিরিক্ত সতর্ক ছিলেন পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময়ই সৌভিক সাহাকে চড় মারেন এক পুলিশকর্মী। এরপরেই অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলকে ঘিরে ধরে মেডিকেল কলেজ চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন চিকিৎসকরা। ঘটনার খবর পেয়ে মেডিকেল কলেজে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। গোটা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি মেডিকেল কলেজ ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসক সৌভিক সাহার দাবি,
তিনি রোগী দেখার জন্য হাসপাতালে ঢুকতে গেলে এক পুলিশকর্মী গেটে তাঁকে ধাক্কা মারেন। আমি ঘুরে তাকাতেই তিনি চড় কষিয়ে দেন। ১৫ দিন আগে পুলিশ ও সিভিক কর্মীরা হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে একজন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে মারধর করেছিলেন। এখানে পুলিশের দাদাগিরি চলছে। হাসপাতালে পুলিশ রাখা হয় চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু সেই পুলিশই যদি চিকিৎসকদের উপর চড়াও হয়, তবে চিকিৎসকরা কাজ করতে পারবে না।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রাম রায় ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, তিনি চারজন আসামি নিয়ে মেডিকেল কলেজে এসেছিলেন। আসামি নিয়ে আসার সময় তিনি সকলকে সরে যেতে বলেন। কোনও কারণে আসামি পালিয়ে গেলে সব দোষ তাঁর ওপর পড়বে। সেই সময় এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁকেও আসামিদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসামিদের সঙ্গে মস্তানি করতে শুরু করেন। তাঁকে চিনতে না পেরে তাঁর গালে একটি চড় কষিয়ে দেন তিনি। পরে তিনি জানতে পারেন ওই ব্যক্তি একজন চিকিৎসক। এরপরে তিনি তাঁদের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান। কিন্তু তারপরেও কিছু ডাক্তার তাঁকে ঘেরাও করে রাখে।
[ আরও খবরঃ শুরু হল মালদায় ৩৩তম বইমেলা ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentarios