অবলীলায় দোকানে খাবার বেচলেন বিক্রেতা, দুপুরে জানা গেল করোনায় আক্রান্ত
শনিবার দুপুরে হঠাৎ পুলিশ ঘিরে ফেলল শহরের রাস্তার ধারের একটি খাবারের দোকান। সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে এলেন ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষ। কারণ ইংরেজবাজারের মধ্যস্থল ফোয়ারা মোড়ে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার লালারসের নমুনায় করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যেই এলাকায় জনতার ভিড় উপচে পড়ে। ভিড় সামলে পুরসভার অ্যাম্বুলেন্সে আক্রান্তকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সংক্রমিতকে নিয়ে যাওয়ার পর স্যানিটাইজ করা হয় গোটা এলাকা।
এই ঘটনায় এদিন চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ইংরেজবাজারে। স্থানীয় লোকজন জানালেন, লালারস সংগ্রহ করার পরও এই ব্যক্তি নিয়মিত খাবারের দোকানে আসছিলেন। তার দোকানে বিক্রি করা হয় চাউমিন, ভুজিয়া ও ঝালমুড়ি। ইংরেজবাজারের বালুচরের বাসিন্দা এই দোকানদার। দুই প্রতিবেশীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর, এই মুড়ি বিক্রেতার লালারস সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দফতর। আশেপাশের অন্যান্য দোকানদাররা জানালেন, সকাল থেকেই অনেক লোক এই খাবার কিনে খেয়েছেন।
[ আগের খবরঃ দু’মাসে মালদায় আক্রান্ত পাঁচশো ছাড়াল, নতুন সংক্রামিত ৪৭ ]
শনিবার মালদা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এদিন ইংরেজবাজার শহরে। সেখানে সংক্রমিত ১৪ জন। ইংরেজবাজারের বালুচরের পাঁচজন, সুভাষপল্লির দু’জন করোনা পজিটিভের তালিকায় আছেন। বাকিরা সূর্যসেনপল্লি, রেলওয়ে কলোনি, মহানন্দাপল্লি, নেতাজি পার্ক, সানিপার্ক, মিরচক, বিবিগ্রাম এলাকায় বসবাস করেন। ইংরেজবাজার ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের ১০ জন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে এদিন। আক্রান্তরা কাজিগ্রাম মহেশপুর, কমলাবাড়ি, যদুপুর-১, গাবগাছি, অমৃতি, বাবুপুর মিলকি, নিমাসরাই কোতোয়ালি ইত্যাদি এলাকার বাসিন্দা।
পুরাতন মালদাতেও চার সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। আক্রান্তরা বলরামপুর মঙ্গলবাড়ি, মনোহরপুর মুচিয়া, সিঙ্গাপাড়া মহিষবাথানি, পুরসভা এলাকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড মহানন্দাপল্লির বাসিন্দা। চাঁচল-১ নম্বর ব্লকে খরবা ও গৌড়হাটে আক্রান্ত দুইজন। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকে আক্রান্ত ছয়জন। হাতিচাপা ভালুকায় একজন, ইসলামপুরে তিনজন, দৌলতনগরে দু’জন। এছাড়াও কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকে গোলাপগঞ্জে, ১৭ মাইলে একটি করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
টপিকঃ #CoronaVirus
Comments