পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
top of page

পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বিজেপির গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে ভুয়ো বিল করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সরব গ্রামবাসী। দলেরই বুথ সভাপতি ক্ষোভ উপরে দিয়েছেন। তিনি পঞ্চায়েত প্রধানকে দুর্নীতিবাজ বলে শাস্তির দাবি তুলেছেন। জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকারই এক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সুপারভাইজার। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানের স্বামী। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মানিকচকের নাজিরপুর গ্রামপঞ্চায়েতে।



নাজিরপুর গ্রামপঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত। গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান বিজেপি সদস্যা পম্পা সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি টাকা হাতানোর অভিযোগ করেছেন লস্করপুর গ্রামের বাসিন্দারা। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ না করিয়ে ভুয়ো বিল করে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান। ঘটনার প্রতিবাদ করলে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে গ্রামবাসী সহ সুপারভাইজারকে। গোটা ঘটনায় মালদা জেলাশাসকের কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এলাকার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সুপারভাইজার রুদ্র সাহা। তিনি বলেন, প্রধান দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। কাজ না করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন প্রধান। প্রতিবাদ করলে প্রধানের স্বামী হুমকি দিচ্ছে।



স্থানীয় বাসিন্দা তাপস ঘোষ জানান, প্রধানের স্বামী আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার জন্য পাঁচ হাজার টাকা কাটমানি নিয়েছে। কিন্তু ঘর পাওয়া তো দূর, প্রধানের ও তাঁর স্বামীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।


পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির লস্করপুর গ্রামের বুথ সভাপতি পিন্টু গোস্বামী। তিনি বলেন, দলের প্রধান এইভাবে দুর্নীতি করবে ভাবা যায় না। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বারবার এই প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই সমস্ত দুর্নীতিবাজ প্রধানের জন্য দলের নাম বদনাম হচ্ছে।




যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী সুজয় গোস্বামী। তিনি বলেন, যারা অভিযোগ করছেন, তাঁদের সঙ্গে দুর্নীতিতে যোগ দিতে রাজি না হওয়ায় এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page