সুখের জোয়ারে চাঁদেই পাড়ি মালদার দম্পতির, কিনলেন জমি
top of page

সুখের জোয়ারে চাঁদেই পাড়ি মালদার দম্পতির, কিনলেন জমি

‘চাই কি জমি? চাঁদেই আছে। এক বিঘে দাম তিন টাকা। করলে দেরি ঠকতে হবে, চট করে ভাই দিন টাকা…’

অনেক পুরোনো প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এই বাংলা ছড়ার কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনেছেন মালদা শহরের ৩ নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনির আকাশ চক্রবর্তী। দেরি না করে দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীতেই তিনি স্ত্রী দেবযানীকে উপহার দিয়েছেন চাঁদের জমি। মুখের কথায় নয়, রীতিমতো গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে। সেই জমির নথিপত্রও আজ তাঁর হাতে এসে পৌঁছেছে। এসব আগে কিছুই জানতেন না স্ত্রী। হঠাৎ করে চাঁদের জমির কাগজ হাতে পেয়ে চোখ কপালে তাঁর।



আকাশ ইংরেজবাজার পুরসভার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। দু’বছর আগে বিয়ে হয় মালদা শহরেরই সুকান্ত মোড়ের দেবযানী চক্রবর্তীর সঙ্গে। প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে আরও অনেকের মতো উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় সেই দিনের অনেক আগে থেকেই তাঁর মাথায় পাক খেতে থাকে, এবার স্ত্রীকে অন্যরকম কিছু উপহার দিতে হবে। তার খোঁজ পেতে ইন্টারনেট ঘেঁটেই যাচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর নজরে পড়ে, নিউ ইয়র্কের একটি সংস্থা চাঁদে জমি বিক্রি করছে। বিষয়টি মনে ধরে তাঁর। যোগাযোগ করেন সেই সংস্থার সঙ্গে। অনেক আলাপ আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে উপহার দিতে চাঁদে এক একর জমি কিনেই ফেলেন তিনি। কড়কড়ে ৬৮ মার্কিন ডলার খরচ করে সেই জমি কিনেছেন তিনি।


আকাশের কথায়,

‘অনেকেই তো প্রিয়জনকে অনেকরকম উপহার দেয়। দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে এবার না হয় অন্যরকম কিছু উপহার দিলাম! অবশ্য শুধু আমি নই, দেবযানীও আমাকে এই উপহার দিয়েছে। আমরা দু’জন পরস্পরকে এই উপহার দিয়ে দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীটা স্মরণীয় করে রাখলাম। আমি আগে ওকে কিছু বলিনি। আজ জমির কাগজপত্র এলে ওর হাতে তুলে দিয়েছি। বিশেষ এই দিনটা আমরা এভাবেই মনে রাখলাম।’



আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page