তিন মাথার মোড়ে তুকতাক! জনরোষের শিকার দুই মহিলা
নিরুদ্দেশ জামাইকে খুঁজে পেতে গুনিনের কথা মতো কাজ করছিলেন দুই মহিলা। পাড়ার তিনমাথার মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় লাল কাপড়, জবাফুল, সিঁদুরের পুরিয়া, কখনও বা পান-সুপারি ফেলে আসতেন৷ আর তা থেকেই নাকি এলাকায় নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। এমনই অভিযোগে গত পরশু রাতে ওই দুই মহিলাকে ঘেরাও করে মারধর করেন এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে দুই মহিলাকে উদ্ধার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা শহরের কৃষ্ণপল্লি এলাকায়।
ওই দুই মহিলার নাম ঝুমা দাস (৪৫) ও অঞ্জলি দাস (৪৪)৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় বছর দুয়েক আগে ঝুমাদেবীর মেয়ে সীমা ও তাঁদের মেয়েকে ফেলে রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যান জামাই খোকন দাস৷ জামাইকে ফিরে পেতে ঝুমাদেবী ও তাঁর বোন অঞ্জলিদেবী কালিয়াচকের সুজাপুর এলাকার এক গুনিনের দ্বারস্থ হন৷ সেই গুনিনের কথাতেই নাকি তাঁরা তিনমাথার মোড়ে রাতের অন্ধকারে লাল কাপড়, জবাফুল, সিঁদুরের পুরিয়া রেখে আসতেন। বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের সন্দেহ হয় এই সমস্ত কারণেই এলাকায় নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এরপর গত পরশু রাতে ওই দুই মহিলাকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি তাঁদের মারধরও করা হয়। খবর পেয়ে দুই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,
এই দুই মহিলা কিছুদিন আগে পাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন৷ প্রায় প্রতিদিনই তাঁরা পাড়ার বিভিন্ন মোড়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র ফেলছিলেন৷ তারপর থেকেই পাড়ায় নানা অঘটন ঘটছে৷ তাঁদের ধারণা, ওই সমস্ত জিনিসপত্রের জন্য পাড়ায় এসব অঘটন ঘটছিল৷ কে বা কারা এসব রাতের অন্ধকারে ফেলে যাচ্ছে, তার খোঁজ চালাচ্ছিল এলাকার বাসিন্দারা। অবশেষে তাদের ধরা গিয়েছে৷ দুই মহিলা স্বীকার করেছে, নিরুদ্দেশ জামাইকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে গুনিনের কথা মেনে তাঁরা এই কাজ করতেন৷
[ আরও খবরঃ মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে ফের বিতর্ক হরিশ্চন্দ্রপুরে ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários