মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে ফের বিতর্ক হরিশ্চন্দ্রপুরে
top of page

মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে ফের বিতর্ক হরিশ্চন্দ্রপুরে

মন্ত্রী-বিধায়কের সরব হওয়ার পরে কিছুদিন চুপচাপ ছিল মাটি মাফিয়ারা। কিছুদিন শান্ত থাকার পর ফের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে মাটি মাফিয়াদের। মাটি কাটার মেশিন ব্যবহার করে ফের শুরু হয়েছে মাটি কাটা। মাফিয়াদের ভয়ে মুখে কুলুপ আটতে হয়েছে স্থানীয় মানুষদেরও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে।


হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ভালুকা বাজার সংলগ্ন কৃষিজমি থেকে কয়েকদিন ধরেই মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ চাষিদের দাবি, সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে ৮ থেকে ৯ ফুট মাটি খোঁড়া হচ্ছে৷ এতে পাশাপাশি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা৷ এই মাটি থেকে ইট তৈরি করে নদী পথে বিহারে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ স্থানীয় এক চাষি জানান, তিনি ভুট্টা চাষ করছেন। কিন্তু যেভাবে মাটি কাটা হচ্ছে, তাতে হয়তো জমির ক্ষতি হবে। সরকারের নাকের ডগায় এভাবে মাটি কাটা চলছে। অথচ প্রশাসনের তরফে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।



বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়ালা জানান,

“মাটি কাটা নিয়ে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় সরব হওয়ার পর কিছু মাটি কাটা বন্ধ ছিল। তবে এখন আবার মাটি কাটা শুরু হয়েছে৷ শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের কথায় মাটি কাটা বন্ধ হয়েছিল৷ ফের তাঁদের নির্দেশেই সেই কাজ শুরু হয়েছে৷ মাটি কাটা রুখতে বিডিও, বিএল অ্যান্ড এলআরও এবং থানার আইসিকে নিয়ে কমিটি গঠিত হওয়ার পরেও মাটি কাটা বন্ধ না হওয়ায় পরিষ্কার, এই ঘটনায় তৃণমূলের লোকজন জড়িত৷"

জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান জানান, মাটি কাটতে হলে কয়েকটি সরকারি নিয়ম মানা জরুরি৷ কতটা মাটি কাটা হয়েছে তা তাঁর জানা নেই৷ তবে বেশি গর্ত করে মাটি কাটা হলে পাশাপাশি জমিগুলিও বর্ষার সময় ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবেন তিনি।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page