আত্মহত্যা! কুশিদায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের গাছের ডালে জোড়া নিথর দেহ
পরিণতি সেই এক হল। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের একই গ্রাম থেকে উদ্ধার হল যুবক ও যুবতির ঝুলন্ত মৃতদেহ। পরপর একই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়।
সকালে প্রাতর্ভ্রমণকারীদের নজরে আসে গাছে ঝুলে থাকা যুবক-যুবতির নিথর দেহ। খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়েত হয়। একটি ওড়নার এক প্রান্তে যুবতি, অপর প্রান্তে যুবক ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে প্রেম সংক্রান্ত আত্মহত্যা মনে করা হলেও গ্রামবাসীদের জানান, তাঁদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক জানা ছিল না। এরপর আত্মহত্যা নাকি খুন এই নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধে এলাকাবাসী এবং প্রশাসনিক মহলে। আসল ঘটনা জানতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশ যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে।
[ আগের খবরঃ গাছের ডালে দুই কিশোর-কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য ]
চলতি মাসের ৩ তারিখ কুশিদা গ্রামপঞ্চায়েতের কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা তুতেন সিংহের মেয়ে নিরূপা সিং (১৫) এবং ওই এলাকার বাসিন্দা দুলাল সিংহের ছেলে পবিত্র সিংহের (১৭) ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমনিতেই শোকাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা। সেই ঘটনাতেও পবিত্র ও নিরূপার প্রেমের সম্পর্ক ছিল না কিনা তা নিয়ে ধন্দে ছিল গ্রামবাসী। এরপর সেই ঘটনার ১৫ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সকালে ওই গ্রামপঞ্চায়েতের গৌরীপুর এলাকায় একটি গাছের ডালে যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ নজরে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত যুবকের নাম বিষ্ণু সিংহ (২৫)। বাড়ি বিহারের আজমনগর থানার তামাবাড়ি এলাকায় এবং মৃত যুবতির নাম গীতা সিংহ (১৮)। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রামপঞ্চায়েতের নসরপুর গ্রামে।
[ আরও খবরঃ হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত গাজীউদ্দিন ]
মৃতের যুবতির দিদি জানান, দিন দশেক আগে গ্রামের একটি পুজো অনুষ্ঠান দেখতে দিদির বাড়িতে ঘুরতে আসে গীতা। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার সময় বাথরুমে গিয়ে আর ফেরেনি। সারারাত খোঁজাখুঁজির পর সকালে বাড়ির কাছেই বরল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। মৃত যুবকের সঙ্গে বোনের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না বলেই তিনি জানান। আত্মহত্যার কারণে সন্দিহান পরিবারের সদস্যরা। একইরকম সন্দিহান মৃত যুবকের জামাইবাবু সুন্দর সিংহ। তিনি জানান, এদের মধ্যে কোনরূপ সম্পর্কের কথা কেউ জানে না।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments