তৃণমূলকে জেতালে চাঁচল পৌরসভা গঠন সময়ের অপেক্ষা
top of page

তৃণমূলকে জেতালে চাঁচল পৌরসভা গঠন সময়ের অপেক্ষা

ভোটের মুখে ফের চাঁচলবাসীর আবেগ উসকে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ষোলোর নির্বাচনি বক্তব্যের প্রতিধ্বনি একুশেও শোনা গেল তাঁর মুখে৷ জানালেন, চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুরের মানুষ ভোটে তৃণমূলকে জেতালে চাঁচল পৌরসভা গঠন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা৷ আজ শীতলকুচির ঘটনা নিয়েও প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন তিনি৷ বলেন, ভোটের ময়দান থেকে পালাবেন না বলে শীতলকুচির ছেলেরা নিজের জীবন দিয়েছেন৷ এখানেও যেন কেউ ভোটের ময়দান থেকে না পালায়৷ তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে জনমানসে৷ তবে কি এবার মালদাতেও শীতলকুচি ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷


আজ হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা উপবাজার সমিতি চত্বরে এই জেলার প্রথম নির্বাচনি সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর বক্তব্যে একদিকে যেমন ছিল বিজেপি সহ বাম-কংগ্রেস বিরোধিতা, তেমনই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি৷ এদিন তিনি নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির কল্পতরু হয়ে উঠেছিলেন৷ ঠিক রাজ্যের অন্যান্য নির্বাচনি সভাগুলির মতোই৷ আগামী ছাব্বিশে একটিও ভোট নষ্ট যাতে না করা হয়, তার জন্য উপস্থিত জনতাকে আহ্বান জানান তিনি৷ বিজেপির তিলকধারী গুণ্ডারা যাতে ভোট লুট না করতে পারে, তার জন্যও মানুষকে সতর্ক করেন তিনি৷



মমতা বলেন, ‘হরিশ্চন্দ্রপুরে তজমুল আর চাঁচলে নীহার এবার আমাদের প্রার্থী৷ এলাকার উন্নয়ন করতে হলে এই দুজনকে জেতাতেই হবে৷ তাহলেই চাঁচল পৌরসভা তৈরি হবে৷ নীহারের পৌরসভা চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ তজমুল তাকে সাহায্য করবে৷ আর এবার সবাইকে ভোট দিতে হবে৷ কারণ, বিজেপি এই রাজ্যে এনআরসি চালু করতে চাইছে৷ আপনারা ভোট দিলে আপনাদের নাম ভোটার লিস্টে থাকবে৷ তারপর আমরা যা দেখার দেখে নেব৷ তবে কোভিড শুরু হয়েছে৷ সবাই সাবধানে ভোট দিতে যাবেন৷ মুখে মাস্ক পরে, বুথে গ্লাভস পরে ভোট দেবেন৷ কেউ যেন ভোট লুট না করতে পারে সেদিকে নজর রাখবেন৷ শীতলকুচির ছেলেরা জীবন দিয়েছেন৷ তবু পালাননি৷ এখানেও আপনারা কেউ ভোট না দিয়ে পালাবেন না৷’ অর্থাৎ আজ এনআরসি ইস্যুতে এলাকার মানুষকে বুথমুখী করতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো৷ তবে তাঁর সভার ফল কী হবে, জানা যাবে ছাব্বিশেই৷




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page