top of page

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ, সরকারি নির্দেশে বড়ো ক্ষতির আশঙ্কা

কেন্দ্রীয় সরকারের নোটিশে বন্ধ রপ্তানি। রপ্তানি বন্ধ থাকায় সীমান্তে আটকে রয়েছে পেঁয়াজ বোঝাই লরি। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে আটকে থাকায় পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন রপ্তানিকারক থেকে শুরু করে ট্রাকচালক ও ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন এই সমস্যা চলতে থাকলে ভারী লোকসানের মুখে পড়তে হবে রপ্তানিকারকদের।



এক রপ্তানিকারক হৃদয় ঘোষ বলেন, লরিতে থাকা পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে। যতদিন যাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকবে ক্ষতির পরিমাণ। শুধু তাই নয়, ভিন রাজ্য থেকে পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে এসে আটকে পড়েছেন চালকরাও। ইচ্ছে থাকলেও বাড়ি ফিরে যেতে পারছেন না চালকরা। এই মুহূর্তে মহদীপুর স্থলবন্দরে প্রায় ৪০০ পেঁয়াজ বোঝাই গাড়ি আটকে রয়েছে। প্রায় ২০ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এই পেঁয়াজ রপ্তানি না হলে তাঁদের আত্মহত্যা করতে হবে।



এবিষয়ে মহদীপুর সিএনএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভূপতি মণ্ডল জানান,


কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা জারি করার আগেই প্রায় দেড়শো গাড়ি মহদীপুর স্থলবন্দরে এসেছিল। বর্তমানে প্রায় ৪০০টি গাড়ি আটকে পড়েছে সীমান্তে। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে থাকে। পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় বড়ো অঙ্কের টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা।



মহদীপুর এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক জানান, লকডাউনে এমনিতেই বেশ কয়েকমাস সীমান্তে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। কয়েকদিনের জন্য বাণিজ্য চালু হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্তে ফের বন্ধ রপ্তানি। সীমান্তে আটকে পড়েছে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পেঁয়াজ বোঝাই লরি। ইতিমধ্যে পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হচ্ছে, যাতে সীমান্তে আটকে পড়া লরিগুলিকে আপাতত রপ্তানি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page