শিকলবন্দি যুবক প্রশাসনিকভবন চত্বরে, হইচই এলাকায়
ভরদুপুরে জেলা প্রশাসনিকভবনে শিকল বন্দি বছর ত্রিশের যুবক। শিকল বন্দি করে রেখেছেন পরিবারের লোকজনই। মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে যেতে কাউকে মারধর না করতে পারে সেই কারণেই এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে পরিবারের লোকদের। আজ ওই ছেলের চিকিৎসার জন্য সরকারি সাহায্যের আবেদন জানাতে শিকল বন্দি অবস্থায় ছেলেকে প্রশাসনিকভবন চত্বরে নিয়ে আসেন বাবা-মা।
মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের নাম শেখ কাসেদ (২৯)। বাড়ি মানিকচকের চৌকি মিরদাতপুরের সালাবাদগঞ্জে। বাবা শেখবুদ্দিন পেশায় শ্রমিক। শ্রমিকের কাজ করত কাসেদও। জানা গিয়েছে, প্রায় দশ বছর আগে মানসিক ভারসাম্য হারায় কাসেদ। প্রথম দিকে সেরকম প্রভাব না পড়লেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে কর্মক্ষমতা হারায় কাসেদ। রোগ বাড়তে থাকায় পরিবারের লোকজন নিজের সাধ্যমতো ছেলের চিকিৎসা করান। কিন্তু তাতেও ছেলে সুস্থ হয়নি। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের মারধর করতে শুরু করে কাসেদ। এই পরিস্থিতিতে গত এক বছর ধরে ছেলেকে শিকল বন্দি করে রাখতে শুরু করে পরিবারের লোকজন। ছেলের চিকিৎসার জন্য সরকারি সাহায্যের আবেদন নিয়ে আজ ওই পরিবারের লোকজন শিকল বন্দি অবস্থায় ছেলেকে নিয়ে আসেন জেলা প্রশাসনিকভবনে।
[ আরও খবরঃ করোনা আবহে বইমেলা, প্রবেশ অবাধ! ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments