top of page

বাড়ির অমতে বিয়ে করায় সাবালিকা মেয়েকে মারধর

নিজের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করায় মেয়েকে বন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠেছে পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। বন্দী করে মারধর করা হয় মেয়েকে এবং সাথে চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও টাকা নিয়ে অভিযুক্তদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ– এমনই অভিযোগ এনে এদিন পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন মেয়েটি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ।


বাড়ির অমতে বিয়ে করায় সাবালিকা মেয়েকে মারধর

নির্যাতিতা ওই যুবতী প্রিয়াংকা কর সিংহ (২২)৷ শহরের কৃষ্ণপল্লি এলাকায় তার বাবার বাড়ি। বছর দুয়েক আগে প্রিয়াংকা বিয়ে করেন যদুপুরের যুবক স্বপন সিংহকে৷ দীর্ঘদিন ধরেই প্রিয়াংকা ও স্বপনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল৷ কিন্তু তাঁদের এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি তাঁর পরিবারের লোকজন।

এদিন প্রিয়াংকাদেবী বলেন, বিয়ের পর থেকেই তাঁকে বারবার শাসাতেন তাঁর বাবা, সৎ মা ও দাদা৷ গত ২৮ অগস্ট বাবার বাড়ির পাশে একটি সরকারি দপ্তর থেকে তাঁকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায় তাঁর বাবার বাড়িতে৷ একটি ঘরে তাঁকে বন্দী করে বেধড়ক মারধর করে। কাঁচি দিয়ে তাঁর মাথার চুল কেটে ফেলে তাঁর বাবার বাড়ির লোকজন। বাড়িতে তাঁকে বন্দী করে রাখা হয়েছে এখবর মায়ের কানে পৌঁছলেই তাঁর মা ইংরেজবাজার থানার পুলিশকর্মীদের সমস্ত বিষয়টি জানান৷ পুলিশই তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করে৷

স্বপনবাবু বলেন, তাঁর স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে অনেক কষ্টে তাঁকে ফোন করে সমস্ত বিষয় জানান। তিনি বিষয়টি তাঁর শাশুড়িকে জানান। শাশুড়ি পুলিশ নিয়ে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করেন৷ এই ঘটনায় পুলিশ সেদিন তাঁর সৎ শাশুড়িকে গ্রেফতার করে৷ কিন্তু একদিন থানায় রেখে টাকার বিনিময়ে তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ৷ সেই কারণে এদিন তাঁরা বিচারের আশায় পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন৷

এদিন পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ গোটা বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন প্রিয়াংকাদেবী ও তাঁর স্বামীকে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page