top of page

পুজোর ‘নিউ নর্মালে’ পাট চুকেছে চাঁদার

Updated: Jan 11, 2021

আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে ইতিউতি। বাতাসে শরতের গন্ধ জানান দিচ্ছে মা আসছেন মর্ত্যে। কিন্তু তবু আনন্দের উচ্ছ্বাস কোথায় যেন লুকিয়ে গিয়েছে করোনার হা-হুতাশে।


শারদোৎসবের আকাশে করোনাসুরের রক্তচক্ষু নিয়েই গুটিগুটি পায়ে এগোচ্ছেন মালদার ক্লাব উদ্যোক্তারা। মণ্ডপ, প্রতিমা, পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণ— পুজোর কটা দিন এসবই থাকছে। তবে থাকছে না জৌলুসটাই। সংক্রমণের কাঁটা নিয়ে কিছুটা হলেও এবার পুজোয় আলোর চোখ ঝলসানো খেলা সেভাবে হয়তো চোখে পড়বে না। লকডাউনের ধাক্কায় দেশজোড়া আর্থিক মন্দা পুজোর আয়োজনকেও ম্লান করেছে অনেকটা। করোনা আবহে বাঙালির পকেটে টান পড়েছে। আর সে কথা মাথায় রেখেই চাঁদার পর্ব এবছর পুজোর আয়োজন থেকে ছেঁটে ফেলেছে ইংরেজবাজারের বেশ কয়েকটি ক্লাব।


Economic slowdown has adversely impacted the Durga Puja
আর্থিক মন্দা পুজোর আয়োজনকেও ম্লান করেছে অনেকটা। ছবি: কৃতাঙ্ক

ঘোড়াপীড় সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সেক্রেটারি কমল ঘোষের কথায় আক্ষেপটা স্পষ্ট বোঝা গেল। বলেই ফেললেন, এবার আর সেভাবে পুজো হচ্ছে কোথায়! একচালার সাবেকি প্রতিমা এনে নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে পুজোটা করব। কিন্তু আগের মতো বিশাল জাঁকজমক আর থাকছে না।


আসলে পাঁচ লাখ টাকার বাজেট নিয়ে পুজো করতাম, এবার মাত্র এক লাখে তা সারতে হবে। ক্লাবের সদস্যরাই টাকাপয়সা যোগাড় করে মায়ের আরাধনা করবেন। মানুষের যা অবস্থা, তাতে চাঁদা দেওয়ার পরিস্থিতিতে নেই কেউ। তাই ওই পাট তুলে দিয়েছি। করোনা আবহে সুরক্ষাটাও জরুরি। তাই মণ্ডপে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার রাখব। ভিড় এড়ানোর জন্য মণ্ডপও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে খোলামেলা করা হচ্ছে। বাকিটা মায়ের ইচ্ছা।



চাঁদা না তুলে এবার পুজো সারছে ইংরেজবাজারের বড়ো কমিটিগুলোর অন্যতম শান্তিভারতী পরিষদও। শান্তিভারতী পরিষদের পক্ষে উদ্দীপন রায় বললেন, এবার পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। তাই কারও কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হবে না। ফলে ১৫ লাখের বাজেট তিন লাখে নেমে এসেছে। এই টাকাটা অবশ্য ক্লাব সদস্যরাই দেবেন। অল্প বাজেটে পুজো করলেও আমরা নজর কাড়ব বলে বিশ্বাস। দক্ষিণ ভারতের একটা কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। প্রতিমা সাবেকি ধাঁচের। অন্য বছর লাইটিংয়ের যে ব্যবস্থা থাকে, ততটা এবছর থাকছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজোর আয়োজন করা হবে। তাই দর্শনার্থীরা মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন না। বাইরে থেকেই ঠাকুর দর্শন করতে হবে। এমনকি অঞ্জলি দেওয়ার জন্যও বিধিনিষেধ থাকছে। ১০-১৫ জনের বেশি একসঙ্গে অঞ্জলি দিতে পারবেন না।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page