top of page

নতুন কৃষি আইনে দালালদের সমস্যা, তাই আন্দোলন: দিলীপ

মঙ্গলবার মালদায় দলীয় কর্মসূচিতে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সকালে মালদা শহরের মকদুমপুরে চায়ে-পে-চর্চায় অংশ নেন তিনি। দুপুরে মানিকচকে দলীয় কর্মীসভায় যোগদান করেন দিলীপবাবু। মালদায় দুই কর্মসূচিতেই একাধিক ইশ্যুকে তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি।



দিলীপবাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের নয় কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যে ১৪ হাজার টাকা করে দিয়েছেন৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা সেই টাকা পাননি৷ শুধুমাত্র এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতার কারণে৷ কেন্দ্রীয় সরকার এবছর ধানের সহায়কমূল্য অনেকটা বাড়িয়েছে৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ১০ শতাংশের বেশি কৃষক সেই সুবিধে পাননি৷ কৃষক ভাইদের বাকি ধান কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে৷ কৃষকদের বাঁচাতেই প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন সংশোধন করেছেন৷ এই আইনে কৃষকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো জায়গায় উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারবে৷ কিন্তু বিরোধিতা করছেন দিদিমণি৷ আজ দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলন চলছে৷ সেখানে শুধুমাত্র পঞ্জাবের সমস্যা৷ পঞ্জাবে এমন ৪০ হাজার দালাল আছে৷ সেই দালালরা চাষিদের কাছ থেকে ১২০০ টাকায় ধান কিনে ১৮০০ টাকায় বিক্রি করে৷ নতুন কৃষি আইনে এই দালালদের সমস্যা হয়ে গিয়েছে৷ তাই তারা আন্দোলন করছে৷



দিলীপবাবু আরও বলেন, মালদা আমের জন্য বিখ্যাত৷ কিন্তু এখানে কোনও ফুড প্রসেসিং ইউনিট গড়ে ওঠেনি৷ এখানকার আমের মার্কেটিং কিংবা ব্র্যান্ডিং এখনও হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রী ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দিতে পারেন, পুজোয় ক্লাবকে চাঁদা দিতে পারেন, কিন্তু এসব পরিকাঠামো তৈরি করতে পারেন না৷ আমফানের পর কেন্দ্রীয় সরকার এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিল৷ চারদিনের মধ্যে সেই টাকা গায়েব৷ দিদি বললেন, সবাইকে ২০ হাজার টাকা করে দেব৷ কিন্তু সেই টাকা চলে গেল তৃণমূলের লোকজনের ঘরে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বহিরাগত বলে চেঁচাচ্ছেন৷ মানুষ বলবে কে বহিরাগত? তাঁর ভাইপোর বউমা থাইল্যান্ডের৷ তিনি বহিরাগত নন৷ যে প্রশান্ত কিশোরকে ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে নিয়ে আসা হল তিনি বহিরাগত নন৷ যে শাহরুখ খানকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বানিয়ে নাচানাচি করছেন, তিনিও বহিরাগত নন৷ শুধু নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহ নাকি বহিরাগত৷




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comentários


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page