top of page

জলস্তর কমছে, ফের ভাঙনে আতঙ্ক, পাশে থাকার বার্তা জেলাশাসকের

গঙ্গার জলস্তর কমতে থাকার সঙ্গে ফের শুরু হয়েছে ভাঙন। ভাঙনে ভূতনিতে সদ্য নির্মিত রিং বাঁধের বেশ কিছু অংশ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন বাঁধ সংলগ্ন এলাকার মানুষজন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামতির কাজ করছে সেচ দপ্তর। দুর্গত মানুষদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলাশাসক।


সেচ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার দুপুরে মানিকচক ঘাটে গঙ্গা ২৪.৫৬ মিটার উচ্চতায় বইছে। বিপদসীমা ২৪.৬৯ মিটার থেকে খানিকটা নিচে রয়েছে গঙ্গার জলস্তর। মহানন্দার জলস্তর ছিল ২০.১০ মিটার (বিপদসীমা ২১.০০ মিটার)। এদিন দুপুরে ফুলহর বিপদসীমা ২৭.৪৩ মিটার থেকে ৯১ সেন্টিমিটার নীচে বইছে।


নদীর জলস্তর কম থাকায় ভূতনির ক্ষতিগ্রস্ত রিং বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরপুর ও কালুটোনটোলা গ্রামের তিনটি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত রিং বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। বাঁধ মেরামতির কাজের মান মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র জানান, ভাঙন রোধের কাজে কোনও আপস করা হবে না৷ কাজ সঠিকভাবে করতে হবে এবং সেটা করতে হবে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে৷ কোথাও থেকে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ পাওয়া গেলেই আমি বিষয়টি লিখিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনব৷


ree

কেদার মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, যেভাবে গঙ্গা পাড় কাটছে তাতে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত নতুন রিং বাঁধের অন্তত তিনটি জায়গা কেটে গিয়েছে৷ বাড়িতে বন্যার জল ঢুকে পড়ায় পরিবার নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়ে রয়েছি৷ তবে যে হারে গঙ্গা পাড় কাটছে তাতে এই বাঁধও তলিয়ে যেতে পারে৷


জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, কালিয়াচক ৩ নম্বর, মানিকচক ও রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের ৬২টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সমস্ত এলাকার ৯ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬০জন গর্ভবতী মহিলা। দুর্গত মানুষের জন্য প্রশাসনের তরফে ৪০ হাজার ত্রিপল সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে বিলি করা হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত ১৭টি রিলিফ ক্যাম্প এবং ২৪৪টি মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়েছে৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page