সার্টিফিকেট ডিজিটাইজেশন নিয়ে ব্যবসার অভিযোগ খরবায়
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- 1 day ago
- 1 min read
এসআইআর নিয়ে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে, হাতে লেখা শংসাপত্রকে ডিজিটাল করতে হবে। সরকারের তরফে এই কাজের জন্য পুরসভা ও পঞ্চায়েত দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। বিনামূল্যে এই পরিসেবা দেওয়ার কথা থাকলেও চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতে এই কাজের জন্য মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।
পুজোর পরেই নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) শুরু করতে পারে বলে খবর শোনা যাচ্ছে। সারা রাজ্যের মানুষ নিজেদের নাগরিকত্বের প্রমাণ ঠিক করে রাখতে উঠে পড়ে লেগেছেন। রাজ্য সরকারও জানিয়েছে, হাতে লেখা শংসাপত্র আর গ্রাহ্য হবে না। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে ছুটতে হচ্ছে পুরসভা-পঞ্চায়েতে।
সেই সুযোগে কার্যত ব্যবসা ফেঁদে বসেছে খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত৷ অভিযোগ, এই পঞ্চায়েতে শংসাপত্রের ডিজিটাইজেশন করাতে আসা মানুষজনের কাছে মাথাপিছু ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে দাবি করা হচ্ছে৷

এক গ্রামবাসী শাহজাহান আলি জানান, “জন্মের শংসাপত্রের ডিজিটাইজেশন করাতে টাকা দাবি করা হচ্ছে৷ কিন্তু সেই টাকার কোনও রিসিভ কপি বা রশিদ দেওয়া হচ্ছে না৷ সেটা চাওয়া হলে উলটোপালটা কথা বলা হচ্ছে৷ জন্মের শংসাপত্রে অনেকের নাম ভুল রয়েছে৷ পঞ্চায়েতে তারা এখন বেশি ভিড় করছে৷ আমিও ভুল ঠিক করার পাশাপাশি শংসাপত্রকে ডিজিটাল করতে পঞ্চায়েতে গিয়েছিলাম৷ আমার কাছে ৫০০ টাকা চাওয়া হয়৷ কারও কাছে আবার হাজার বা দু’হাজার টাকাও চাওয়া হয়েছে৷ আমরা গোটা বিষয়টি লিখিতভাবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানিয়েছি৷”
খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মলয় বসাক দাবি করেছেন, পঞ্চায়েতে পুরোনো জন্ম শংসাপত্রের ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে৷ বিনামূল্যেই সেই কাজ করা হচ্ছে৷ এখানে কোনওরকম অতিরিক্ত চার্জ বা ফি নেওয়া হয় না৷ একইসঙ্গে নতুন শংসাপত্রেরও কাজ চলছে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন