প্রশাসক বনাম বিদায়ী কাউন্সিলরদের দ্বন্দ্ব বাড়ছে পুরসভায়
top of page

প্রশাসক বনাম বিদায়ী কাউন্সিলরদের দ্বন্দ্ব বাড়ছে পুরসভায়

ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আজ ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে পুরসভায় অবস্থান বিক্ষোভ দেখান দলের প্রাক্তন কাউন্সিলররা। এই ঘটনাকে দলবিরোধী পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন পুরসভার প্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষ।

পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলররা আজ দুপুরে জেলাশাসকের কাছে পুরসভার প্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানান। পরে তাঁরা সকলেই পুরসভায় প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করতে যান। তবে পুরসভায় প্রশাসক কিংবা প্রশাসক বোর্ডের কোনও সদস্যকে না পেয়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হতে বাধ্য হন বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বিদায়ী কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ তিওয়াড়ি। প্রাক্তন কাউন্সিলরদের অভিযোগ, এখন বর্ষার সময় পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তাগুলিতে জল জমে রয়েছে। নিকাশীর কোনও কাজ করছেন না পুরসভার প্রশাসক। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতিতে একেবারেই কোনও কাজ হচ্ছে না। বিদায়ি কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরি জানালেন, নিজেদের জন্য আজ আমরা এখানে আসিনি৷ করোনার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে গেছে, এরফলে মানুষের হয়রানি হচ্ছে৷ লকডাউনের ফলে যুব সমাজের হাতে কোনও কাজ নেই৷ মানুষ নিজের খাবার জোগাড় করতে পারছে না৷ এই পরিস্থিতিতে মানুষ নিজেদের সমস্যায় আমাদের কাছেই আসছে৷ আমরা প্রশাসককে বারবার সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করতে বললেও তিনি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না৷ আমাদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে৷ আমরা ব্যর্থ প্রশাসকের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।




নরেন্দ্রনাথ তিওয়াড়ি বলেন, পুরসভার প্রশাসকের বিরুদ্ধে আমরা বিদায়ী কাউন্সিলররা ধরনায় বসেছি৷ কারণ, তিনি নিজের কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ করোনা পরিস্থিতিতে পুরসভার বাসিন্দারা সঠিক পরিসেবা পাচ্ছেন না। এনিয়ে আজ আমরা জেলাশাসকের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছি। পুরসভাতেও সেই অভিযোগ জানাতে এসেছিলাম। কিন্তু পুরসভায় কাউকে না পেয়ে অবস্থানে বসেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা দলীয় নেতৃত্বকেও জানিয়েছি।


ঘটনাপ্রসঙ্গে পুরসভার প্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, আমার কাছে এখনও অভিযোগ আসেনি। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা নেই। তবে দলের লোকজন যদি এই কাজ করে থাকেন, তবে তাঁরা দল বিরোধী কাজ করেছেন। পুরসভাকে কলঙ্কিত করার জন্য এসব ঘটনা ঘটাচ্ছেন তাঁরা। সমস্ত বিষয় নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের দ্বারস্থ হব।

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page