আইনজীবীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি
top of page

আইনজীবীর বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতি

ভোর রাতে এক আইনজীবীকে বেঁধে রেখে কয়েক লক্ষ টাকার নগদ ও জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিল সশস্ত্র ডাকাতদল৷ ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার জালালপুরে৷ খবর পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷


৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই কালিয়াচকের জালালপুর বর্ধিষ্ণু গ্রাম৷ তার পাশেই স্ট্যান্ড৷ স্ট্যান্ডের পাশেই দোতলা বাড়ি ওয়াহেদুর ইসলাম চৌধুরির৷ প্রভূত সম্পত্তির অধিকারী তিনি৷ ছেলে নায়েরুল ইসলাম চৌধুরি মালদা জেলা আদালতের আইনজীবি৷ বিশাল বড়োলোক পরিবার হিসেবেই এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত৷ এদিন ভোরে সেই বাড়িতেই হানা দেয় ডাকাতদল৷


পুলিশকে নায়েরুল সাহেব জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতেও তিনি দোতলার ঘরে ঘুমোতে যান৷ এদিন ভোর সাড় ৩টে নাগাদ হঠাৎ তাঁর ঘরের দরজায় কেউ টোকা দেয়৷ বাড়িতে বয়স্ক মা-বাবার কথা ভেবে তিনি অন্য কিছু চিন্তাভাবনা না করেই দরজা খুলে দেন৷ তখনই ৬-৭ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী তাকে ঘরে ঢুকিয়ে বেদম মারধর করে৷ তারপর তারা তাঁর দুই হাত পিছন দিকে পিছমোড়া করে বেঁধে দেয়৷ মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তারা তাঁর মা-বাবার ঘর কোথায় জানতে চায়৷ সঙ্গে জানতে চায় বাড়ির মূল্যবান সামগ্রী কোথায় রয়েছে৷ প্রাণের ভয়ে তাদের সব কিছু বলে দিতে বাধ্য হন তিনি৷ এরপর তারা বাবা-মায়ের ঘরে ঢুকে তাঁদের গায়েও হাত তোলে৷ সবাইকে তারা একটি ঘরে এনে রাখে৷ তারপর কয়েকটি আলমারি থেকে নগদ ২ লক্ষ টাকা, ৩০ ভরি সোনার অলঙ্কার, বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন সহ আরও কিছু মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়৷

ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কালিয়াচক থানার পুলিশ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ডাকাতরা বাড়ির পিছন দিকে থাকা বাথরুমের পাইপ বেয়ে দোতলার কার্নিশে ওঠে৷ সেখান থেকে তারা দোতলার ঘরের সামনে পৌঁছায়৷ ৬-৭ জন ভিতরে ঢুকলেও বাইরে হয়ত আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী পাহারার দায়িত্বে ছিল৷ তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ভিতরে যারা ঢুকেছিল তাদের সবার মুখ রুমাল দিয়ে বাঁধা ছিল৷ তবে তারা স্থানীয় ভাষাতেই কথা বলছিল৷ এথেকে পুলিশের ধারণা, ডাকাতদের মধ্যে একাধিক বা সবাই স্থানীয় দুষ্কৃতী৷ তাদের চিহ্নিত করার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে কালিয়াচক থানার পুলিশ৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page