ইংরেজবাজারে করোনায় এক ব্যবসায়ীয় মৃত্যু, নতুন করে জেলায় আক্রান্ত ৩১
top of page

ইংরেজবাজারে করোনায় এক ব্যবসায়ীয় মৃত্যু, নতুন করে জেলায় আক্রান্ত ৩১

গত ২৪ ঘণ্টায় মালদায় কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩১ জন। মৃত্যু হয়েছে শহরের এক ব্যবসায়ীর। ৩০ জুন এই ব্যবসায়ীর সংক্রমণ ধরা পড়ে। স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ জন ইংরেজবাজারের বাসিন্দা। পুরাতন মালদা ব্লক অফিসে ফের দু’জনের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। বাকিরা জেলার কাজিগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, বাহারাল, মশালদহ, লকড়িগোলা, নাজিরপুর, চাঁচল-১ নম্বর ব্লক, পুকুরিয়া, চাঁদপাড়া ইত্যাদি এলাকার বাসিন্দা।



জেলায় আরও এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার রাতে পুরাতন মালদার কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই রোগীর মৃত্যু হয়, জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। গত তিনদিন আগে ওই ব্যক্তির লালারসে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। মৃত ইংরেজবাজারের পিঁয়াজি মোড়ের বাসিন্দা ৭৩ বছরের শিবশম্ভু কেশরী, পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। নেতাজি মার্কেটের বোম্বে রোডের নিজস্ব দোকান থেকে পাইকারি দরে চিনি বিক্রি করতেন। মৃতের পরিবারে স্ত্রী, দুই ছেলে, বউমা ও নাতি-নাতনি রয়েছে। পরিবারের এক সদস্য জানালেন, বাড়িতে সংক্রমণ ধরা পড়ার পর বাধ্যতামূলক কোয়রান্টিনে ছিলাম আমরা। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন উনি। গত জুন মাসের ২০ তারিখ জ্বর হওয়ার পর স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ২৮ তারিখ জ্বর না সারায় শহরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি করি। নার্সিংহোম থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর লালারস মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। দু’দিন পর সেই রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যায়। সাথেসাথে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নার্সিংহোম থেকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। গতকাল রাতে মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী আজ মৃতদেহ সৎকার করা হবে। পরিবারের কারও শেষ দেখা করার অনুমতি নেই। উল্লেখ্য, জেলায় এর আগেও দুই করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছিল। একজনের কলকাতার এক হাসপাতালে এবং অন্যজন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মালদা সদর হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর পর তার করোনা সংক্রমণের কথা জানা যায়।




জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে কোভিড হাসপাতালে এই বৃদ্ধ মারা যান। অনেক রোগে ভুগছিলেন করোনায় আক্রান্ত এই ব্যক্তি। শুক্রবার প্রশাসনিকভাবে মৃতদেহের সৎকার করা হবে। উল্লেখ্য, জেলার প্রথম করোনা সংক্রামিতের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত ২৭ জুন বিকেলে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তিনি হৃদরোগের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন৷ ৫৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লকের মোথাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের আমলিতলা গ্রামে৷ তিনি একজন বড়ো ব্যবসায়ী৷ তবে কলকাতার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃতদেহ পরিবারের হাতে দেয়নি৷ সরকারি নিয়ম মেনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই ওই করোনা সংক্রামিত মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে৷ এরপর দ্বিতীয় মৃত্যু হয় কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লকের মোথাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতে এক ২৮ বছরের যুবকের। হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল অনেকদিন ধরে। শ্বাসকষ্টের জন্য আগে চিকিৎসাও করিয়েছেন। নিউমোনিয়া হওয়ায় তিনদিন আগে মালদা মেডিকেল কলেজে ভরতি করা হয়। সেখানেই ২৮ তারিখ রাত দুটোর সময় মারা যান।


গতকাল রাজ্য সরকারের প্রকাশিত তথ্যে জানা গেল, জেলার প্রায় ৬২ শতাংশ কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মালদা জেলার মোট সংক্রমিত ৭০৬ জন। তবে এরমধ্যে ৪৩৭ জন ব্যক্তি ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ফলে নতুন আক্রান্তদের বাদ দিয়ে ২ জুলাই পর্যন্ত জেলায় অ্যাকটিভ কেস ২৬৮টি। সুস্থ হয়ে উঠার হারও বেশ ভালো, গতকাল সুস্থ হয়েছেন ৪৪ জন। টপিকঃ #CoronaVirus #CovidUpdate

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page