top of page

একশো বছরের প্রাচীন মুড়ি-আলুর দমের মেলা শুরু আগামীকাল

মুড়ি আর আলুর দমের মেলার কথা শুনেছেন কখনও? শুনতে অবাস্তব লাগলেও এমন মেলার অস্তিত্ব রয়েছে মালদা জেলাতে। চাঁচলের আশাপুরের এই মেলাতে মালদা জেলার পাশাপাশি দুই দিনাজপুর জেলা থেকেও মানুষ ভিড় করেন। ১০ দিন ধরে এই মেলা চললেও দোকানিরা আরও কিছুদিন মেলা চত্বরে থেকে যান। প্রথম দু-তিন দিন মানুষের ভিড়ে গমগম করে পুরো এলাকায়।


চাঁচলের আশাপুরের মুড়ি-আলুর দমের মেলা আসলে মকর মেলা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে গঙ্গাপুজোর রীতি এবং মেলার পত্তন ঘটিয়েছিলেন নবীন দাস নামে এক ব্যক্তি৷ তাঁর কোনও পুত্রসন্তান হচ্ছিল না৷ শেষ পর্যন্ত গঙ্গাদেবীর কাছে মানত করে তিনি পুত্রসন্তান লাভ করেন৷ তারপরেই তিনি নদীর ঘাটে গঙ্গাদেবীর প্রতিমা পুজো করে মেলা চালু করেন৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেলার আয়তন ও বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে ভিড়ও। এই মেলার আয়োজন করেন আশাপুর ও ডুমরাল গ্রামের বাসিন্দারা৷


মেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে,

এবছর মেলায় অন্তত পাঁচশো দোকান বসবে৷ এর মধ্যে সিংহভাগই কাঠের আসবাবপত্রের দোকান৷


মেলা কমিটির সম্পাদক কল্যাণকুমার সাহা জানান, এই মেলার বয়স একশো পেরিয়েছে৷ পৌষ সংক্রান্তির মেলা হলেও মূল মেলা বসে মাঘের প্রথম দিন৷ ১০ দিন ধরে মেলা চললেও কাঠের দোকানিরা প্রায় ১৫ দিন এখানে থেকে যান৷ এই মেলার বিশেষত্ব, মুড়ি-আলুর দম৷ যারা নদীতে পুণ্যস্নান করবেন, তাঁদের অবশ্যই মুড়ি আর আলুর দম খেতে হবে৷ আগে এই এলাকার রাস্তাঘাট সব কাঁচা ছিল৷ অনেক দূর থেকে মানুষ গোরু-মহিষের গাড়ি কিংবা সাইকেল চালিয়ে স্নান করতে আসত৷ নদীর ঘাটে কোনও দোকানপাট ছিল না৷ কিন্তু স্নান সেরে কিছু তো খেতে হবে! তাই সবাই মুড়ি, আলুর দম সহ নিরামিষ সব খাবার সঙ্গে নিয়ে আসত৷ খাবার খেয়ে সবাই বাড়ি ফিরে যেত৷ সেই থেকেই এই মেলায় আলুর দম আর মুড়ির দোকানের প্রাধান্য৷




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


Commentaires


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page