মালদায় আইন অমান্য আন্দোলনে মমতাকে নিশানা সুকান্তর
"তৃণমূল কংগ্রেসের দৌলতে গোটা রাজ্য জুড়ে চোর তৈরি হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি এত চাল-গম খেয়েছেন বাধ্য হয়ে দিদি তাঁকে সরিয়ে দিয়েছেন। এখন দিদি বলছেন, অনুব্রত মণ্ডল জেল থেকে ছাড়া পেলে তাকে বীরের মত সংবর্ধনা দেওয়া হবে। অনুব্রত মণ্ডল যেন ইংরেজদের সাথে লড়াই করে জেলে গিয়েছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ জানে, তিনি গোরু চুরি করে, গোরু পাচার করে জেলে গিয়েছেন।" মালদায় আইন অমান্য আন্দোলনে এসে মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
আজ দুপুরে মালদা শহরে বিজেপির আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়। মিছিলে পা মেলান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা সহ অন্যান্যরা। বিজেপির মিছিল জেলা প্রশাসনিক ভবনে পৌঁছতেই পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেডে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সমস্ত ব্যারিকেড ভাঙার পর আন্দোলন থামিয়ে দেন বিজেপি নেতৃত্বরা।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের দৌলতে গোটা রাজ্যজুড়ে চোর তৈরি হয়েছে। সেই চোরদের ধরার জন্য বিজেপির এই আন্দোলন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে টিউশন পড়িয়ে ৩ কোটি টাকা জমিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল মাছ বিক্রি করে মেয়ের নামে ১৭ কোটি টাকা রেখেছে। তৃণমূলের উচিত, মালদা জেলার বেকারদের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ের কাছে আর মৎস্যজীবীদের অনুব্রত মণ্ডলের কাছে নিয়ে গিয়ে ট্রেনিং দেওয়ানো। কীভাবে টিউশন পড়িয়ে আর মাছ বিক্রি করে এত টাকা জমানো যায় তা জানুক মালদার মানুষ। আর দিদি বলছেন, অনুব্রত মণ্ডল জেল থেকে ছাড়া পেলে তাঁকে বীরের মতো সংবর্ধনা দেবেন। সাধারণ মানুষ জানে কেন উনি জেলে গিয়েছেন। এইসব চোরদের ধরতেই বিজেপির এই আন্দোলন।
[ আরও খবরঃ নামকরা হোটেল মালিকের বাড়িতে কলকাতা পুলিশের হানা ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments