পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের কোষ্ঠীকোন্দলে সমস্যায় তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জেলাপরিষদ সদস্য। পঞ্চায়েতের আগে আরও একবার প্রকাশ্যে গোষ্ঠীকোন্দলের সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ বিরোধীরাও।
চাঁচলের তৃণমূলি জেলাপরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম জানাচ্ছেন, বিধানসভা ভোটের আগে আইপ্যাকের নির্দেশে তিনি এই এলাকাকে সাজিয়েছিলেন। জমি চাষ করে ফসল লাগিয়ে ছিলেন তিনি। আর তার ফসল অন্য কেউ কেটে নেবে এটা তাঁরা মেনে নেবেন না। চাঁচলের পরিযায়ী বিধায়ক অঞ্চল কিংবা ব্লক কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না৷ ভাড়া বাড়িতে থেকে তিনি কয়েকজন ঠিকাদার নিয়ে দল পরিচালনা করছেন৷ পরিযায়ী বিধায়কের এমন কাজকর্ম তাঁরা মানতে পারছেন না৷ বিষয়টি তাঁরা জেলা সভাপতিকে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে দলনেত্রী ও সর্বভারতীয় সম্পাদকের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।
ঘটনাপ্রসঙ্গে নীহাররঞ্জন ঘোষ জানান,
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে কিছু মানুষ বিরোধীদের কাছে বিকিয়ে গিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোট করেছিলেন। তাঁরা এখন এসমস্ত কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। এখনও তো অঞ্চল কিংবা ব্লক কমিটিই তৈরি হয়নি৷ উনি বড়ো সংগঠক হলে কেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হাতে মাত্র দুটি আসন এসেছিল। কেন এতদিন চাঁচলে কোনো বিধায়ক দিতে পারেননি?
বিজেপির জেলা নেতা অম্লান ভাদুড়ি জানান, পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে৷ পঞ্চায়েত ভোটে কে কত টাকা দিয়ে টিকিট পাবে, তা নিয়ে এখন ওদের মধ্যে ঝামেলা৷
[ আগের খবরঃ বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে টোটো উলটে মহিলার মৃত্যু ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন