বঙ্গরত্ন পেলেন মালদার নাট্যজগতের নক্ষত্র পরিমল ত্রিবেদী
প্রথমে নাট্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার, তারপর বঙ্গরত্ন। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে দু-দুটো সম্মান পেয়ে মালদার নাম উজ্জ্বল করেছেন নাট্যকার পরিমল ত্রিবেদী। আজ শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বঙ্গরত্ন সম্মানে ভূষিত হবেন পরিমলবাবু।
নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিতে গিয়ে বললেন, ভাবতেই পারিনি এরকম একটা পুরস্কার আমার জন্য অপেক্ষা করছে। এতগুলো বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করে গেছি। তার যে একটা স্বীকৃতি পাচ্ছি, এতেই গর্বিত। পরিমল ত্রিবেদী হিসাবে নয়, থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অন্য কেউও যদি এই সম্মান পেতেন, তাতেও গর্বিত হতাম।
থিয়েটারের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নিজের ছেলেবেলার স্মৃতিচারণায় পৌঁছে গেলেন পরিমল ত্রিবেদী। বললেন, বাবা-কাকাকে দেখেছি গান-নাট্য জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকতে। সেই থেকেই নাটক, থিয়েটারের প্রতি একটা টান অনুভব করি। তেরো বছর বয়সে প্রথম নাটক লিখেছিলাম - চরিঅনন্তপুর আমার গ্রাম। সেখানে যখন নাটক করতাম, তখন তো আলো ছিল না। মঞ্চ ছিল না। এককথায় তেমন কোনো সুবিধাই ছিল না। তবু নাটক করে গেছি। সেখানে এসেছিলেন বিভাস চক্রবর্তী, ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রাত্য বসুর বাবাও এসেছিলেন। তখন তাঁরা আমাদের কাজ দেখে আপ্লুত হয়েছিলেন।
পরিমল ত্রিবেদী বলেন, এই পুরষ্কার শুধু আমার নয়, এটা মালদার থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত সকলের কাজের প্রাপ্তি। এখন মালদার বাইরে গেলেও থিয়েটারের প্রসঙ্গ উঠলে আমার নাম বলেন অনেকে। ভালো লাগে। আশাকরি আগামী প্রজন্ম নাটক নিয়ে আরও নতুন কিছু দেবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments