অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ
স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচকের নাজিরপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম পিয়ালী ঘোষ সাহা (২৪)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের হর বটতলী এলাকায়। মৃত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনায় মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে থানার আধিকারিকরা এই অভিযোগ না নিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ করার জন্য জোর দিতে থাকেন।
জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে পিয়ালী ঘোষের বিয়ে হয় মানিকচকের পশ্চিম নাজিরপুর এলাকার বাসিন্দা সুব্রত সাহার সঙ্গে। মৃত গৃহবধূর দাদা মধুসূদন ঘোষের অভিযোগ, বিয়ের সময় জামাই নিজেকে স্থায়ী সরকারি কর্মচারী বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর জানা যায়, সে অস্থায়ী সরকারি কর্মচারী পদে যুক্ত রয়েছে। আরও কিছুদিন পর তাঁর বোন স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। প্রতিবাদ করায় পিয়ালীদেবীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে তাঁর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
গত চারদিন আগে পরিবারের লোকজন পিয়ালীদেবীর শ্বশুরবাড়িতে যান। তাঁরা মেয়ে ও জামাইকে বুঝিয়ে রবিবার বিকেলে মালদায় আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান। সন্ধেয় পিয়ালীদেবী ফোন করে জানান স্বামী সহ পরিবারের লোকেরা তাঁকে মেরে ফেলবে। ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি তাঁর মানিকচকে পিয়ালী শ্বশুরবাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখেন ভ্যানে করে পিয়ালীর মৃতদেহ দড়ি দিয়ে বেঁধে শ্মশানের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানায় পিয়ালী আত্মহত্যা করেছে।
[ আরও খবরঃ আগামীকাল গাজোলে যোগী আদিত্যনাথের জনসভা ]
এরপরই পরিবারের লোকজন মানিকচক থানায় খবর দেয়ে। খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনায় মানিকচক থানায় স্বামী সহ পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করতে যান পরিবারের লোকেরা। কিন্তু পুলিশ খুনের অভিযোগ নিতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে পুলিশসুপার ও মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকজন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments