রাজনৈতিক মদতে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ
top of page

রাজনৈতিক মদতে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ

সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জেলাপরিষদের বিজেপি’র সদস্যের মদতে অবৈধভাবে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে অভিযুক্ত বলে দাবি করেছে অভিযোগকারী। এমনকি কাজে বাধা দিতে গেলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলাপরিষদ সদস্য। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন গাজোলের বিধায়ক। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাজোল-১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া এলাকায়।


alleged-illegal-occupation-of-government-land


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘোষপাড়া এলাকায় একটি সরকারি পুকুর রয়েছে। সরকারিভাবে সেই পুকুরের লিজ পেয়েছে স্থানীয় মহিলা সমিতি। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই পুকুরের ধারে এবং পুকুরের জায়গায় বেআইনিভাবে দখল করে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে এক ব্যক্তি। স্থানীয় মহিলা সমিতির সদস্যরা সেই কাজে বাধা দেন। লিখিত অভিযোগও জানানো হয় পঞ্চায়েত দফতরে। অভিযোগ, কাজে বাধা দিতে গেলে অভিযোগকারীদের হুমকি দেওয়া হয়। জেলাপরিষদ সদস্য সাগরিকা সরকারের মদতেই এই নির্মাণ কাজ চলছে বলেও দাবি অভিযোগকারীদের।


ঘটনাপ্রসঙ্গে গাজোল-১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ এসেছিল। তিনি নোটিশ করে দুইপক্ষকে ডেকে মীমাংসা করেছেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে কাউকে পাট্টা দেওয়া হয়নি। তবে গ্রামবাসীরা মীমাংসা করে ওই ব্যক্তিকে ওই জায়গাটি দিয়েছে।



জেলাপরিষদ সদস্য সাগরিকা সরকার জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গ্রামবাসীরা মীমাংসা করে ওই ব্যক্তিকে পুকুরের ধারে বসতে দিয়েছে। সেই সুযোগেই ওই ব্যক্তি সেখানে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে। পঞ্চায়েতে এনিয়ে মীমাংসা হয়। তবে এই নির্মাণ কাজে তাঁর কোনও মদত নেই।



পুরো ঘটনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে গাজোল বিধানসভার বিধায়িকা দীপালী বিশ্বাস। তিনি জানান, সরকারি জায়গা কোনোভাবেই কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। এলাকাবাসীরা জেলাপরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। একজন জেলাপরিষদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি হয়ে সাধারণ মানুষকে হুমকি দেওয়ার এই ঘটনায় ধিক্কার জানাই।

সব মিলিয়ে সরকারি জায়গায় নির্মাণকার্য নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে ওই এলাকা।

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page