top of page

দক্ষিণ মালদার প্রার্থীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ

দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রাইহানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে শাহনাওয়াজের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। যদিও সমস্ত অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন রাইহান। হারের গন্ধ পেয়েই এমন মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে মন্তব্য তৃণমূল প্রার্থীর।



বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে অভিযোগ করেন, তৃণমূলের দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রাইহান হিউম্যান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশনের (এসআইও) সক্রিয় সদস্য। জামাত-ই-ইসলামি হিন্দের ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়ার জাতীয় সম্পাদক ছিলেন শাহনাওয়াজ আলি রাইহান। জামাত-ই-ইসলামি হিন্দেরই আরেক শাখা সংগঠন, বাংলাদেশ জামাত-ই-ইসলামি ১৯৭১ সালে সেদেশে ঘটে যাওয়া হিন্দুদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল৷ ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) দিল্লি ও কাশ্মীর-ভিত্তিক একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দফতরে অভিযান চালায়৷ এনআইএ-র তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই সংস্থাগুলি জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষার নামে বিভিন্ন ছুতোয় দেশ ও বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছিল৷ এই অর্থ হাওয়ালা সহ বিভিন্ন উপায়ে জম্মু ও কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল৷ সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে এই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছিল৷


অমিত মালব্য আরও অভিযোগ করেন, দক্ষিণ মালদার মতো স্পর্শকাতর কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাহনাওয়াজের মতো একজন উগ্রবাদী, হিন্দু বিদ্বেষী গোঁড়া মুসলমানকে প্রার্থী করেছেন৷ শাহনাওয়াজ সিএএ এবং ভারতকে গোটা বিশ্বে ভুল প্রচার করছেন৷ প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষিত হওয়ার আগে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অনেক পোস্ট মুছে ফেলে কিছু আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে শাহনাওয়াজ।


এনিয়ে শাহনাওয়াজ জানান, বিজেপির আইটি সেল অপপ্রচারের জন্য কুখ্যাত। এটাও তারই অংশ। আমি কোনোদিনই নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হইনি, অসাংবিধানিক কাজ করিনি৷ কলকাতায় আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে যে সংগঠনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলাম সেখানে কোথাও বেআইনি কিছু নেই৷ আসলে প্রার্থী হিসেবে আমার মতো স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রতিদ্বন্দ্বী দেখে ওরা ভয় পাচ্ছে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comentários


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page