ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট, জেলাতেও ভোট লড়াইয়ে নামছে এই নতুন দল
top of page

ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট, জেলাতেও ভোট লড়াইয়ে নামছে এই নতুন দল

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মালদা জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ছয়টিতে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের আহ্বায়ক, ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি৷ গতকাল বিকেলে কালিয়াচকের বামনগ্রামে আয়োজিত এক ধর্মীয় সভায় যোগ দিতে এসে সংবাদমাধ্যমকে সেকথা জানান তিনি৷ আসন্ন ভোটে অন্য দলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি৷



আব্বাস সিদ্দিকি গতকাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, হায়দরাবাদ থেকে এবার আসাদউদ্দিন সাহেব এই রাজ্যের ভোটে অংশগ্রহণ করছেন৷ তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, এই রাজ্যে তিনিও দল নিয়ে আসছেন৷ তিনি আমার নির্মিত সেকুলার ফ্রন্টে থাকার কথাও বলেছেন৷ তাঁর সঙ্গে আমার আলোচনা চলছে৷ শুধু মিমই নয়, আরও অনেক দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে৷ কংগ্রেস, এমনকি তৃণমূলও যোগাযোগ করেছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত এসব কোনও দলের সঙ্গেই আমাদের নির্বাচনি জোট হয়নি৷ আপাতত আমরা ছোটো ছোটো কয়েকটি দল জোট বেঁধে আসন্ন নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ কারণ, তৃণমূল দলটা এখন দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে৷ আর সেই দলের লোকজন এখন বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছে৷ এদিকে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের শক্তিও আর আগের মতো নেই৷ ফলে মানুষ বুঝে পাচ্ছে না, কাকে সমর্থন করবে৷ তাই তারা আমাদের দিকে আসছে৷ আমরা নতুন মুখ, নতুন রক্ত নিয়ে রাজনীতিতে নেমেছি৷ মালদায় আমরা ছয়টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ এর মধ্যে যদি অন্য দলের সঙ্গে জোট হয়, তবে আসন সংখ্যা অবশ্য কমতে পারে৷ সেক্ষেত্রে আমরা আরও কম আসনে প্রার্থী দেব৷



উল্লেখ্য, গত পরশুই রতুয়ায় সভা করে এই জেলার প্রতিটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের রাজ্য পর্যবেক্ষক মাজিদ হোসেন৷ তারপর গতকাল কালিয়াচকে জেলার ছয়টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানালেন আব্বাস সিদ্দিকি৷ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলায় এই দুই দল নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে ইতিমধ্যে হিসাব কষতে শুরু করেছে শাসক-বিরোধীরা৷ সত্যিই এই দুই দল যদি এই জেলায় নির্বাচনে অংশ নেয়, তবে শাসকদলকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page