চরম করোনার সংক্রমণ, জেলায় ৪৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ
top of page

চরম করোনার সংক্রমণ, জেলায় ৪৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ

দু’শোর গণ্ডি পেরোলো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ জেলাবাসীদের অভিযোগ, ঘরে ফিরছে পরিযায়ী শ্রমিক আর সেই কারণেই বাড়ছে সংক্রামণ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মালদা মেডিকেল কলেজে ৬০৩টি নমুনার পরীক্ষায় ৫৫ জনের রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ পাওয়া যায়।


স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৪৪টি রিপোর্ট মালদা জেলার বাসিন্দার। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭জন ইংরেজবাজার ব্লকের বাসিন্দা, তারপরেই দু'নম্বরে গাজোল, সেখানে আক্রান্ত ১৫ জন। রাজ্য সরকারের কোভিড-১৯ বুলেটিন অনুযায়ী জেলায় মোট সংক্রামিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০২।

স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে একজন ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দা, আরও ১৬ জন ইংরেজবাজার ব্লকের সাত্তারি এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া গাজোল থেকে ১৫ জন, মানিকচক থেকে তিনজন, কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লক থেকে দু'জন ও রতুয়া-২ নম্বর ব্লক থেকে দু'জন আক্রান্ত। বাকিরা চাঁচল-১ নম্বর ব্লক, চাঁচল-২ নম্বর ব্লক, রতুয়া-১ নম্বর ব্লক, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লক, হবিবপুর অঞ্চলের। আরও ৮৩০টি নমুনার পরীক্ষা পর্ব এখনও শেষ হয় নি ফলে রিপোর্ট পাওয়া যায় নি। নতুন করে করোনা আক্রান্তদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথ চিকিৎসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷


44 Covid Positive in Malda District

মালদা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মালদা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে মালদা জেলার ১৫০টি লালারসের নমুনা আসে। সাথে উত্তর দিনাজপুর থেকে তিনটি এবং দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ১৮টি নমুনাও জমা হয়। মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে ‘ব্যাকলগ’-এর সংখ্যা এদিন ৬৬২টি। যা আগের দিনগুলির তুলনায় অনেক কমে এসেছে। মালদা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে এখন পর্যন্ত ১৯,০২৪টি লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷




ভিনরাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা এলাকায় ফেরার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে৷ এতে চাপ বাড়ছে পুরাতন মালদার কোভিড হাসপাতাল সহ আইসোলেশন সেন্টারগুলিতে৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মালদা মেডিকেল কলেজে রাতারাতি গড়ে তোলা হচ্ছে ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট নয়া কোভিড হাসপাতাল৷ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শুধু মেডিকেলে কোভিড হাসপাতালই নয়, মালদা শহরের মধ্যে, লোকালয় থেকে কিছুটা দূরে ইংরেজি মাধ্যম মডেল মাদ্রাসায় একটি আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে৷ সেখানেও ১৫০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ এদিকে স্বস্তির খবর, গতকাল পর্যন্ত জেলার মোট আক্রান্তদের মধ্যে ৮৪ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। (আপডেট)


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page