রাজ্যে দ্বিতীয় তামান্না, নজরকাড়া ফল মাদ্রাসা পরীক্ষাতেও
মাদ্রাসা মাধ্যমিকে ৭৬৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল রতুয়ার তামান্না ইয়াসমিন। তামান্নার এই সাফল্যে তাকে সংবর্ধনা জানিয়েছে এলাকাবাসীরা।
রতুয়ার ভাদো এলাকার বাসিন্দা তামান্না ইয়াসমিন। বাবা মনসুর আলম চিকিৎসক। মা আঞ্জুরা খাতুন গৃহবধূ। তাঁদের চার ছেলেমেয়ে। তামান্না বড়ো মেয়ে। ভাদো মুসলিম গার্লস মিশনে পড়াশোনা করে তামান্না। রতুয়ার বটতলা হাইমাদ্রাসা থেকে মাদ্রাসা মাধ্যমিক দিয়েছিল সে। মোট ৮০০ নম্বরের মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৬৯। রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান ও জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে তামান্না জানায়, সে চিকিৎসক হতে চায়। তার এই সাফল্যের পেছনে বাবা-মা ছাড়াও মিশনের শিক্ষকদের যথেষ্ট হাত রয়েছে। দিনে আট থেকে নয় ঘণ্টা করে পড়াশোনা করত সে। আশা ছিল রাজ্যের প্রথম দশের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারবে। তবে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করতে পারবে তা ভাবতে পারেনি তামান্না। ইতিমধ্যেই হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় একটি বেসরকারি মিশনে ভরতি হয়েছে তামান্না। তার প্রিয় বিষয় গণিত।
[ আরও খবরঃ মালদার মান রাখল নবারুণ-স্নেহা-নীলাব্জরা ]
তামান্নার বাবা মনসুর আলম জানান, মেয়ের সাফল্যে তিনি গর্বিত। তিনি নিজে চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। তবে মেয়ের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার পূর্ণ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তিনি। মেয়ের সাফল্যের পেছনে শিক্ষক শিক্ষিকাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Comentários