তিন দিনে মৃত ১৭, ভাইরাসের মোকাবিলায় সচেতনতা একমাত্র দাওয়াই
মালদা জেলায় ঝড়ের বেগে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ৷ মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রতিদিন যত লালার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, তার ৫০ শতাংশের বেশি নমুনা পজিটিভ হচ্ছে৷ মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নেবে বলে আজ কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন করোনা মোকাবিলার উত্তরবঙ্গের অপারেশন অন স্পেশাল ডিউটি সুশান্ত রায়৷ আজ জলপাইগুড়িতে তিনি ওই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন৷ এদিকে মালদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখার্জি আজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে মানুষকেই সচেতন হতে হবে৷ নইলে রক্ষে নেই৷
মালদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আজ জানিয়েছেন, গত তিন দিনে শুধুমাত্র মেডিকেলে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জন করোনা আক্রান্তের৷ তবে আজ এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর নেই৷ মেডিকেলের ১৫০ শয্যার করোনা বিভাগে আজ ১৪৯ জন ভরতি রয়েছেন৷ অর্থাৎ এই মুহূর্তে নতুন কোনও রোগীকে ভরতি করা যাবে না৷ তবে আজও কিছু রোগীর ছুটি হবে৷ তাঁরা বাড়ি ফিরলে বেড ফাঁকা হবে৷ করোনার চিকিৎসায় ওষুধপত্র কিংবা অক্সিজেনের কোনও সমস্যা এখনও নেই৷ করোনা নিয়ে আজ স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে৷ ওই বৈঠকে করোনা বিভাগে বেড বাড়ানোর বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে৷
পার্থবাবু আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে মানুষকেই বড় ভূমিকা নিতে হবে৷ সবাইকে যথাযথ করোনাবিধি মেনে চলতে হবে৷ কারও কোনও উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর লালার নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে৷ রোগ নির্ণয় হলে রোগীর চিকিৎসা করা চিকিৎসকদের পক্ষেও সুবিধের৷ উপসর্গহীন কিংবা সামান্য উপসর্গযুক্ত রোগীদের বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে৷ প্রয়োজনে তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করতে হবে৷ কিন্তু মানুষ যদি এখনই সতর্ক না হয়, তবে এই ভাইরাসের মোকাবিলা করা দুরূহ হয়ে পড়বে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentarios