প্রেমিকার বাড়িতে গুলিবিদ্ধ যুবকের দেহ উদ্ধার
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Jun 17
- 2 min read
প্রেমিকার বাড়িতে যুবকের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য হরিশ্চন্দ্রপুরে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও। পুলিশের দাবি, প্রেমিকা সঙ্গে আসতে রাজি না হওয়ায় আত্মহত্যা করেছে ওই যুবক। মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনাস্থল নানা নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
মৃত যুবকের নাম সাদ্দাম হোসেন (২৯)। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের রাঙাইপুর গ্রামে৷ সাদ্দাম ইটভাটায় কাজ করতেন। তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে খোকরা গ্রামে সাকিলা খাতুনের বাড়িতে সাদ্দামের যাতায়াত শুরু হয়েছিল৷ প্রায় প্রতিদিনই তিনি সেখানে যেতেন৷ সাকিলা সম্পর্কে তাঁর বউদি৷ অভিযোগ, সাদ্দাম তাঁর বউদি সাকিলার প্রেমে পড়েছিলেন৷ আজ দুপুরে ইটভাটা যাওয়ার পথেও সাকিলার বাড়িতে যান সাদ্দাম। সেখানেই তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সাকিলার দিদি আয়েষা খাতুন জানান, সাদ্দামের দাদার সঙ্গেই বোনের বিয়ে হয়েছে। দুপুরে সাদ্দাম বাড়িতে ঢুকে গেট বন্ধ করে দেয়৷ বোনকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল৷ বোন সঙ্গে সঙ্গে মানা করে দেয়। এরপরেই সাদ্দাম বলে, বিয়ে না করলে ও আত্মহত্যা করবে৷ হঠাৎ আমরা বন্দুকের আওয়াজ শুনি৷ দেখি, সাদ্দাম মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে৷ রক্তের বন্যার মধ্যে একটা বন্দুক পড়ে রয়েছে৷ স্থানীয় লোকজন ওকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ এসে বন্দুক নিয়ে গিয়েছে।

এদিকে, সাদ্দামের এক দাদা বাবর আলির দাবি, আমরা শুনতে পাই, কেউ সাদ্দামকে গুলি করেছে৷ হাসপাতাল ছুটে এসে দেখি, সাদ্দামের মৃত্যু হয়েছে। ওর মাথার ডানদিকে গুলি লেগেছে৷ ওকে কে মেরেছে আমরা বলতে পারব না৷ পুলিশ সঠিক তদন্ত করুক।
জেলা পুলিশের তরফে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সাকিলা খাতুনের শোওয়ার ঘরে সাদ্দাম গুলিবিদ্ধ হন। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ওই মহিলার সঙ্গে সাদ্দামের কিছু সম্পর্ক ছিল। তা থেকেই ওই মহিলাকে নিজের সঙ্গে যাওয়ার জন্য জোর করতে থাকে। ওই মহিলা রাজি না হওয়ায় সাদ্দাম আত্মহত্যা করে। এর আগেও সাদ্দাম আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিল।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentarios