অতিরিক্ত পণ না পেয়ে বধূকে খুন, গ্রেফতার স্বামী ও বউদি
পণের টাকা না পেয়ে এক বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন ও তারপর দেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাটি ঘটেছে পুখুরিয়া থানার মীরজাতপুর গ্রামে৷ এই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত বধূর স্বামী ও বউদিকে আটক করেছে পুলিশ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মীরজাতপুর এলাকায়৷
মৃত গৃহবধূ ফুলতারা খাতুনের (১৯) শ্বশুরবাড়ি মীরজাতপুর গ্রামে৷ ওই গ্রামেই তাঁর বাবার বাড়ি৷ রাজমিস্ত্রি বাবা জামাল খান লকডাউনে কেরলে আটকে রয়েছেন৷ মাত্র সাত মাস আগে ফুলতারার বিয়ে হয় গ্রামের যুবক আইয়ুব শেখের সঙ্গে৷ আইয়ুবও রাজমিস্ত্রির কাজ করে৷ ফুলতারার জ্যাঠা কামাল খান, কাকা আনিশ খানদের অভিযোগ, বিয়ের দু’মাস পর থেকেই আইয়ুব ও তার বাড়ির লোকজন বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা আনার জন্য ফুলতারাকে চাপ দিতে থাকে৷ চাপ সহ্য না করতে পেরে ফুলতারা এর আগে কয়েকবার বাবার বাড়িতে চলে আসে৷ এনিয়ে গ্রামে সালিশি সভাও হয়৷ সভায় আইয়ুবরা নিজেদের ভুল স্বীকার করে ফুলতারাকে নিজেদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়৷ বিয়ের সময় দাবি মতো পণ দেওয়া হলেও আইয়ুবরা অতিরিক্ত পণের দাবি তুলছিল৷ লকডাউনের মধ্যে তাদের সেই দাবি পূরণ করা সম্ভব হয়নি৷ অবশেষে গতকাল রাতে আইয়ুবরা মারধর করার পর ফুলতারাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে৷ প্রমাণ লোপাটের জন্য তার দেহ ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়৷ আজ সকালে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠায়৷ এই ঘটনায় আইয়ুব সহ তার বাড়ির সাতজনের বিরুদ্ধে পুখুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷
পুখুরিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আপাতত দু’জনকে আটক করা হয়েছে৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷ তার রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে জানা যাবে৷ তবে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে৷
টপিকঃ #DomesticViolence #DowryDeath
Comments