স্বাস্থ্যসাথী থাকা সত্ত্বেও সর্বস্বান্ত, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ মহিলার
top of page

স্বাস্থ্যসাথী থাকা সত্ত্বেও সর্বস্বান্ত, মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ মহিলার

ফের প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা না পেয়ে হাতে থাকা সমস্ত টাকা খরচ করে ফেলেছেন পরিবারের লোকজন। এখন স্বামীকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন স্ত্রী।


মালতিপুরের চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েত এলাকায় বসবাস সাইদুর রহমানের। বাড়িতে স্ত্রী, মা ও তিন সন্তানকে রেখে উপার্জনের আশায় কয়েকমাস আগে সাইদুর পাড়ি দিয়েছিলেন কেরলে। সেখানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছিলেন তিনি। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। একটি যাত্রীবাহী বাস সাইদুরকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভরতি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে কিছু টাকা ধার করে সমস্ত গয়না বিক্রি করে স্বামীর চিকিৎসার জন্য কেরলে ছোটেন তাঁর স্ত্রী আলিয়ারা। সেখানে দু’বার অস্ত্রোপচারও হয় সাইদুরের। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি সুস্থ হননি সাইদুর। অভিযোগ, কেরলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা মেলেনি। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় স্বামীকে নিয়ে মালদায় ফিরে আসেন আলিয়ারা। এরপর মালদা শহরের একাধিক নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে স্বামীকে চিকিৎসা করাতে গেলেও তাঁকে খালি হাতে ফিরতে হয়।



আলিয়ারা জানান, স্বামীর দুইবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। ডাক্তাররা আরও একটা অস্ত্রোপচারের কথা বলেছেন। সেই অস্ত্রোপচারের জন্য তিন লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কেরলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হয়নি। স্বামীর চিকিৎসা তাঁদের সমস্ত টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। মালদাতেও একটি নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাওয়া যায়নি। এখন কীভাবে স্বামীর চিকিৎসা করবেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন তিনি।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page