এসআইআর ফর্ম ফিলআপে গ্রামবাসীদের ভরসা হাকিম চাচা
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- 36 minutes ago
- 1 min read
গোটা গ্রামে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষিত ব্যক্তি। স্বাভাবিকভাবেই এসআইআর ফর্ম ফিলআপ করার লোকজনও এলাকায় নেই। বিএলও পাশে থেকে গ্রামবাসীকে ফর্ম ফিল-আপে সাহায্য করছেন। কিন্তু তাঁকেও তো বাড়ি বাড়ি ছুটতে হচ্ছে। তাতেই সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসী। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের মুসকিল আসান হয়ে উঠেছেন হাকিম চাচা। গ্রামের মোড়ে টেবিল পেতে সাধারণ মানুষের ফর্ম ফিল-আপ করে চলেছেন তিনি। রাতেও বহু মানুষ ফর্ম হাতে চাচার বাড়িতে ছুটছেন।
চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা হাকিম চাচা। পুরো নাম মহম্মদ হাকিমুদ্দিন (৭১)। ওই গ্রামে হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। গোটা গ্রামে পাঁচ সাতজন ভালো পড়াশোনা জানেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় বিএলও বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসআইআর ফর্ম বিলি করেছেন। কিন্তু ঠিকমতো পড়াশোনা না জানা মানুষগুলো ফর্ম ফিল-আপ করবেন কীভাবে?
এই পরিস্থিতিতে হাকিম চাচা বিএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ করে ফর্মের খুঁটিনাটি জেনে নেন। কীভাবে ফর্ম ফিল-আপ করতে হবে তা বারবার ইউটিউবে দেখেছেন। তারপর তিনি গ্রামের মোড়ে চেয়ার-টেবিল পেতে বসেছেন৷ সেখানে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফর্ম হাতে ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামবাসীরা৷

হাকিম চাচা জানান, ১০ নভেম্বর থেকে এই কাজ করে যাচ্ছি৷ এতে সাধারণ মানুষের কিছুটা উপকার হচ্ছে৷ বিশেষ করে নিরক্ষর মানুষজনের উপকার হচ্ছে৷ প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত টেবিল নিয়ে বসছি। অনেকে আবার রাতে আমার বাড়িতেও ফর্ম নিয়ে চলে যাচ্ছেন৷ তাঁদেরও ফর্ম ফিল আপ করে দিচ্ছি৷
এক গ্রামবাসী ইমাম শেখ জানান, বিএলও এসআইআর ফর্ম দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা ফর্ম পূরণ করতে পারিনি৷ তাই হাকিম চাচার থেকে ফর্ম পূরণ করিয়েছি। এর জন্য তিনি কোনও পয়সাও নিচ্ছেন না৷ তাঁকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন













Comments