আবাস যোজনায় নেই নাম, কাটমানি ফেরত চেয়ে অবরোধ
top of page

আবাস যোজনায় নেই নাম, কাটমানি ফেরত চেয়ে অবরোধ

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের একবার অস্বস্তিতে শাসকদল। কাটমানি ফেরতের দাবিতে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের। ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া-২ নম্বর ব্লকের পরানপুর গ্রামপঞ্চায়েতের মিরজাতপুর এলাকায়৷ পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘণ্টা দুয়েক পরে অবরোধ উঠে যায়। এই ঘটনায় কংগ্রেসকে দায়ী করছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান।


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবাস প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে গ্রামবাসীদের থেকে ১০-১৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন পঞ্চায়েত নাজিরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূলি প্রধান ও সদস্যরা। কিন্তু আবাস যোজনার তালিকায় যারা টাকা দিয়েছিলেন তাঁদের কারো নাম নেই। এদিকে, পঞ্চায়েত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে, তাই আবাস যোজনার জন্য কাটমানির টাকা ফেরতের দাবিতে সরব হয়েছেন উপভোক্তারা। অবিলম্বে টাকা ফেরতের দাবিতে আজ মিরজাতপুরে পরানপুর-পুখুরিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন গ্রামবাসীরা৷


Villagers-block-road-demanding-return-of-cut-money
কাটমানি ফেরতের দাবিতে পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।

এক উপভোক্তা হামিদা জানান,আবাস যোজনার ঘর পেতে প্রধানের কথায় আমি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মোতি মাস্টারকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি৷ কিন্তু ঘরের লিস্টে আমার নাম নেই। আমি টাকা ফেরত চাই। টাকা ফেরতের দাবিতে পথ অবরোধ করেছি।


আরেক উপভোক্তা বুলি বিবি জানান,

আবাস যোজনার ঘরের জন্য ১২ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু লিস্টে আমাদের নাম নেই। এনিয়ে ওদের বললে, ওরা জাল লিস্ট তৈরি করে আমাদের দেখিয়ে দেয়। আমরা নিজেদের টাকা ফেরত চাই।

নাজিরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূলি প্রধান জাসমিন বিবি জানান, কে বা কারা টাকা নিয়েছে জানা নেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এসব মিথ্যে প্রচার করে তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিরোধীরা যতই মিথ্যে প্রচার করুক ভোটের ফলে কোনো পরিবর্তন হবে না।



কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য তথা পরানপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আবদুল মান্নান জানান, যারা টাকা নিয়েছে, তারা সবাই তৃণমূলের লোক৷ যারা টাকা ফেরত চেয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে, তারাও তৃণমূলের৷ মানুষ ঘর না পেয়ে কাটমানির টাকা ফেরত চাইছে৷ এতে কংগ্রেসের কোনোরকম যোগ নেই।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page