চিনার পর্দা ফাঁসে আসরে এবার এটিএস
অনুপ্রবেশের দায়ে ধৃত চিনা নাগরিক হান জুনেইকে নিজেদের হেপাজতে নিতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করল উত্তরপ্রদেশের এটিএস। কয়েক মাস আগেই তারা হানের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছিল। মালদায় হান ধরা পড়ার পর এটিএস তাকে আদালতে হাজির করানোর জন্য লখনউয়ের স্পেশাল সিজেএম কোর্টে আবেদন জানায়। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন ওই আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারপতি। এরপরেই গতকাল রাতে হানকে সেই আদালতে হাজির করানোর জন্য এটিএসের তরফে মালদা জেলা সংশোধনাগারের সুপারকে ই-মেইল করা হয়। আজ মালদায় এসে পৌঁছোয় এটিএস, লখনউয়ের একটি দল। জেলা সংশোধানাগারের সুপার এব্যাপারে মালদা জেলা আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারকের কাছে আবেদন জানান। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। জানা যাচ্ছে, আজ রাতে কিংবা আগামীকাল সকালেই হানকে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে যাওয়া হবে।
গত ১০ জুন কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে বৈধ পাসপোর্টধারী হান জুনেইকে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ। ১১ জুন তাকে কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১২ জুন জেলা আদালতে পেশ করা হলে তাকে ১৮ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন জেলা আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারক। জেলা আদালতের অনুমতিক্রমে ১৬ জুন তাকে নিজেদের হেপাজতে নেয় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। ততদিনে চাউর হয়ে যায়, হান চিনা নিরাপত্তা সংস্থার গুপ্তচর। তদন্তে অসহযোগিতার বিষয়টিও তার বিরুদ্ধে যায়। ইংরেজিতে তুখোড় হলেও হান এখনও মান্দারিন ভাষায় লক করা তার ল্যাপটপ ও আইফোনের পাসওয়ার্ড জানায়নি। তবে জেরায় সে জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৩০০ ভারতীয় সিমকার্ড সে চিনে পাচার করেছে। সে গুরুগ্রামের একটি হোটেলের মালিক। তার ব্যবসায়ী অংশীদার সিন জিয়াংকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে লখনউ এটিএস। পুলিশ ও এসটিএফের সন্দেহ, হানের ল্যাপটপ ও আইফোনে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক নথি মজুত থাকার সম্ভাবনা। তাই এব্যাপারে নিশ্চিত হতে তার গ্যাজেটগুলি হায়দরাবাদের সিএফসিএল-এ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
[ আরও খবরঃ আমসত্ত্বর বাজার ধরতে সরকারি সাহায্য দাবি ]
গতকাল এসটিএফের তরফে হানকে মালদা জেলা আদালতে তোলা হলে তার জামিনের আবেদন খারিজ করে ৯ জুলাই পর্যন্ত জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন মুখ্য দায়রা বিচারক। এরই মধ্যে আজ জেলা সংশোধানাগারের সুপার তাকে আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে লখনউয়ের স্পেশাল সিজেএম কোর্টে হাজির করার আবেদন পেশ করেন।
মালদা সিজেএম আদালতের এপিপি মেহেতাব আলম বলেন, উত্তরপ্রদেশ এটিএস হান জুনেইকে লখনউয়ের স্পেশাল সিজেএম কোর্টে উপস্থিত করার জন্য আবেদন জানায়। সেখানকার আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। হানকে সেখানে হাজির করানোর জন্য মালদা জেলা সংশোধনাগারের সুপারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে হানকে ওই আদালতে পেশ করতে হবে। আজ জেলা সংশোধনাগারের সুপার জেলা আদালতে তার জন্য আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। সংশোধানাগার কর্তৃপক্ষই হানকে লখনউয়ের স্পেশাল সিজেএম কোর্টে হাজির করবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments